দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বেহালা জোড়া খুনের কিনারা করল লালবাজার৷বেহালার পর্ণশ্রীর আবাসনে মা-ছেলের গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনার কিনারা করল পুলিশ। গ্রেফতার মৃতার দুই মাসতুতো ভাই। দিদির গয়না হাতাতেই খুন বলে জানাচ্ছে লালবাজার।

গত সোমবার বেহালার পর্ণশ্রীর আবাসনে মা ও ছেলের গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ মহেশতলা থানার বাসিন্দা দুই ভাইকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, টাকার জন্যই খুন। রবিবার কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) মুরলীধর শর্মা জানান, দিদির সোনার গয়নার উপর নজর ছিল ধৃত সন্দীপ ও সঞ্জয় দাসের। মাকে খুন করার ঘটনা দেখে ফেলেছিল ছেলে। তাই ছেলেকেও খুন করে সন্দীপ ও সঞ্জয়।

ঘটনায় মৃতার দুই ভাইকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের নাম সন্দীপ দাস (৩২) এবং সঞ্জয় দাস (৪৪)। লালবাজার জানিয়েছে, ইদানীং দুই ভাইয়ের আর্থিক অনটন চলছিল। বাজারে প্রচুর ঋণও ছিল সঞ্জয়ের। মুরলীধর জানিয়েছেন, টাকার লোভেই দিদিকে খুনের পরিকল্পনা করে তারা। জেরায় ইতিমধ্যেই খুনের দায়ভার স্বীকার করেছে অভিযুক্তরা। সোমবার তাদের আদালতে তোলা হবে বলেই জানিয়েছেন জয়েন্ট (সিপি)ক্রাইম।

উল্লেখ্য, গত সোমবার পর্ণশ্রীর সেনপল্লিতে ফ্ল্যাটের ভিতরে সুস্মিতা মণ্ডল এবং গলা কাটা রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। ওইদিন আনুমানিক বেলা তিনটে থেকে বিকেল পাঁচটার মধ্যে খুন করা হয় মা ও ছেলেকে। কিন্তু খুনের কারণ সহ একাধিক বিষয় নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। প্রথমে মামলাটি থানার হাতে থাকলেও, সত্বর ঘটনার দায়ভার নেয় লালবাজারের হোমিসাইড শাখা।

শনিবার সকলের বয়ান যাচাইয়ের কাজ চালাচ্ছিলেন গোয়েন্দারা। সুস্মিতার উধাও হয়ে যাওয়া ফোনটিরও খোঁজ চলছিল।
উল্লেখ্য, খুনের পর থেকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল সুস্মিতার স্বামী তপন মণ্ডলকে। অনলাইনে ক্লাস করছিল তাদের ১৩ বছরের ছেলে। আততায়ী নিজের পরিচয় গোপন করতেই কি মোবাইল লোপাট করেছে, সেই প্রশ্নের উত্তরও এখনও অজানা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here