দেশের সময় , কলকাতা: বেহালা পঞ্চাননতলা সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির পুজো এবার সম্পূর্ণ মহিলা পরিচালিত। পুজো পাঠ হল সনাতনী রীতি মেনে। ধুপ ধুনো ঢাকের আওয়াজ মন্ত্র উচ্চারণ এর সাথে পুজোর পরিবেশ হয়ে উঠেছে অনন্যসাধারণ।
সপ্তমীর সকালে নবপত্রিকার স্নানের মধ্যে দিয়ে শুরু হলো মাতৃ আরাধনা। নানা উপাচার্য নবপত্রিকা স্নান করিয়ে নতুন বস্ত্রে সজ্জিত করা হলো। প্রকৃতি কে সন্তুষ্ট করতে প্রচলিত আছে এই রীতি। প্রতিমা কে সজ্জিত করা হলো ফুলমালা বেলপাতায়। ভক্তি ভোরে শুরু হয় মহাসপ্তমীর পুজো। হয় সন্ধ্যা আরতিও।
মহাঅষ্টমীর দিনটি সব দিক থেকেই থাকে বিশেষ। সকালের পুজো ভোগ আরতির সাথে সাথে মায়ের অঞ্জলিতে সামিল হতে দেখা গেল সমগ্র পল্লীবাসী বৃন্দ কে। মায়ের অষ্টমীর ভোগ বিতরণ করা হলো প্যাকেট বন্দি করে মহামারীর কারণে। সন্ধ্যার আরতির পর প্রস্তুতি শুরু হলো সন্ধি পুজোর বিশেষ ক্ষনের। আবার প্রায় মধ্য রাতে ১১.২৩ মিনিট নাগাদ সন্ধি পুজোর তিথি ছিল। ১০৮ পদ্ম মায়ের পায়ে সমর্পণ করা হলো। সারি সারি ১০৮ প্রদীপ প্রজ্জ্বলন পূজো আরতি, অঞ্জলি প্রসাদ বিতরণে সম্পূর্ণ হলো সন্ধি পুজো প্রায় ১২.৩০ মিনিটে নাগাদ। পাড়ার মহিলাদের নিয়ম নিষ্ঠা আচারে সকলে অভিভূত।
মহানবমী তিথি তে পূজার্চনা আরতি অঞ্জলির সাথে সাথে পূজিত হলো ছোট্ট গৌরী। হলো কুমারী পুজো। সুসজ্জিত কুমারী কে দেখে দুর্গার প্রতিচ্ছবিই মনে হচ্ছিল। পুজো প্রণামের মধ্যে দিয়ে কুমারী পূজা সমাপনের পর হলো মহা নবমীর হোম। হোমাগ্নি তে পূর্ণ হলো মহা নবমী। সকলের প্রার্থনা থাকলো সকলের মঙ্গলময়ী মা যেন এই মহামারীর দুঃসময় কাটিয়ে নির্মল দিন গুলি ফিরিয়ে দেন।