দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ কেন্দ্রীয় কমিটিতেই সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে আগামী বছর এপ্রিল মাসে কেরলের কান্নুরে পার্টি কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হবে। ফলে সেপ্টেম্বর অক্টোবর মাস থেকে সিপিএমের শাখা স্তরের সম্মেলন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। বৃহস্পতি-শুক্রবার রাজ্য কমিটির দুদিনের বৈঠক শেষে রাজ্য সম্মেলনের নির্ঘণ্টও ঘোষণা হয়ে যাবে। সিপিএম সূত্রে,জানাগিয়েছে তার আগে রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীতে বয়স নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিএম।
সূত্রের খবর, বৃদ্ধাশ্রম থেকে দলকে বের করতে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সিপিএম। তা শেষপর্যন্ত বাস্তবায়িত হলে বহু নেতাকে দলীয় কমিটির মায়া ত্যাগ করে ফিরতে হবে প্যাভেলিয়নে। এবার তা হবে বলেও দাবি করছেন অনেক অপেক্ষাকৃত তরুণ নেতা।
সীতারাম ইয়েচুরিরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৭৫ বছরের ঊর্ধ্বে কেউ কেন্দ্রীয় কমিটিতে থাকবেন না। ফলে বিমান বসু, এস আর পিল্লাইদের বিদায় প্রায় নিশ্চিত। সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন,বিশেষ কোনও পরিস্থিতি হলে তা আলোচনা করা হবে। বাংলায় সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ৭২ বছরের বেশি বয়সী কাউকে রাজ্য কমিটিতে রাখা হবে না।
আগেই নিয়ম ছিল ষাটোর্ধ্ব কাউকে নতুন করে রাজ্য কমিটির সদস্য করা হবে না। এবারও তা বলত্ থাকছে। জেলা কমিটিগুলিতে বয়সীমা ৭০-এ বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এরিয়া কমিটিতে সর্বোচ্চ বয়স ৬৫। ফলে জেলা ও এরিয়া স্তরে বহু পক্ককেশ নেতার সিংহাসন যেতে চলেছে। এরিয়া কমিটিতে তারুণ্যের অধিক্যের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
এই বয়স কাঠামো চূড়ান্ত হলে সিপিএম রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীতে অনেক তরুণ মুখ আসতে চলেছে। দলের সম্মেলনের আগেই যুব ফ্রন্ট ও ছাত্র ফ্রন্টের রাজ্য সম্মেলন হবে। এসএফআই ও ডিওয়াইএফআইয়ের অনেক নতুন নেতা দলের রাজ্য কমিটিতে ঠাঁই পেতে পারেন।
গত বার সম্মেলনের সময় এরিয়া স্তরে একজন অনুর্ধ্ব একত্রিশ বাধ্যতামূলক করেছিল সিপিএম। এবার তা বাড়িয়ে দুই করা নিয়েও আলোচনা হবে রাজ্য কমিটির বৈঠকে। সেইসঙ্গে অনুর্ধ্ব চল্লিশেও দুজনকে রাখার বিষয়ে চর্চা চলছে।
তবে রাজ্য কমিটিতে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ৭০, জেলায় ৬৫ এবং এরিয়া স্তরে ৬০ করার পক্ষে মত রাখবে অনেক জেলা। শেষপর্যন্ত এই মানদণ্ড চূড়ান্ত হয়ে গেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। রাজ্য কমিটি যদি সর্বোচ্চ বয়স ৭২-ও করে তাও সূর্য মিশ্রদের কমিটি ছাড়তে হবে। তা ছাড়া বহু জেলাতেও সম্পাদকমণ্ডলীতে বিপুল শূন্যস্থান তৈরি হবে।