দেশের সময়ওয়েবডেস্কঃ মঙ্গলবার রাতে কয়েক পশলা বৃষ্টিতে সাময়িক স্বস্তি ফিরলেও বুধবার সকাল থেকে যেই কে সেই। এদিন শহরের তাপমাত্রা ফের তুঙ্গে ৷ সকাল থেকেই হাসফাঁস গরম। গলদঘর্ম অবস্থা শহরজুড়ে। কার্যত লকডাউন পরিস্থিতিতে ঊর্ধ্বমুখী তাপমাত্রায় নাজেহাল ঘরবন্দি শহরবাসী। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, বুধবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের চেয়ে তিন ডিগ্রি বেশি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৯১ শতাংশ।
একদিকে যখন ঘূর্ণিঝড় তাওকতে লণ্ডভণ্ড করছে পশ্চিম ভারতের একাধিক উপকূল এলাকা। তখন বৃষ্টির জন্য চাতক পাখির মতো অপেক্ষায় বঙ্গবাসী। খানিক স্বস্তি দিয়ে মঙ্গলবার রাতে বৃষ্টি হয় কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগনাতে। অন্যদিকে, এবার অনেক আগেভাগেই দেশে পা রাখছে বর্ষা ৷
আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হল, এবার নির্ধারিত সময়ের আগেই দেশে ঢুকবে বর্ষা। হাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ বছর ৩১ মে কেরলে বর্ষা ঢুকবে। উল্লেখ্য, দেশের মধ্যে কেরলে প্রথম বর্ষা ঢোকে। এ দেশে বর্ষা ঢোকার স্বাভাবিক সময় ১ জুন। এ বছর তার আগেই ঢুকছে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। তবে এ রাজ্যে বর্ষা ঠিক কবে প্রবেশ করতে চলেছে, তা নিয়ে এখনও সঠিক পূর্বাভাস মেলেনি। ফলে আরও বেশ কিছুদিন যে ভ্যাপসা গরমে কাটাতে হবে, তা বলাই বাহুল্য।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, কেরলে বর্ষা ঢোকার সঙ্গে কলকাতায় বর্ষা ঢোকার কোনও সম্পর্ক নেই। কেরলে যদি বর্ষা ঢুকতে দেরিও করে, তাহলে বাংলায় তার কোনও প্রভাব পড়বে না বলেই মত আবহবিদদের। বাংলায় বর্ষা ঢোকার স্বাভাবিক সময় সাধারণত ৮ জুন।