বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে আসুন,মোদীকে আমন্ত্রণ মমতার

0
400

দেশেরসময় ওয়েবডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কলকাতায় আমন্ত্রণ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় থেকে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০ এপ্রিল কলকাতায় বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলন হবে। ওই সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।
২০১৯ সালে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন করেনি রাজ্য সরকার। গতবছর কোভিডের কারণে তা অনুষ্ঠিত করা যায়নি। কয়েকদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের দিন ঘোষণা করেছিলেন। এদিন দিল্লি গিয়ে প্রশানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানালেন তিনি।

ওই ঘোষণার পর থেকেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে চাপা সংঘাত শুরু হয়েছে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের। তিনি টুইট করে হিসেব চেয়েছেন, এর আগে যে এতগুলো বাণিজ্য সম্মেলন হল, তার জন্য তো সরকারের অনেক খরচ হয়েছে। কিন্তু কত বিনিয়োগ বাংলায় এসেছে তার কি কোনও পরিসংখ্যান নবান্ন দিতে পারবে?

এর প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রর একটি চিঠিও সামনে আনে নবান্ন। তার পাল্টা ফের আরও কিছু প্রশ্ন তোলেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। তৃণমূলের নেতারা অবশ্য রাজ্যপালের এ হেন ভূমিকাকে পায়ে পা দিয়ে ঝগড়ার মনোভাব হিসেবেই দেখাতে চেয়েছে।


তৃতীয়বার সরকারে এসেই মমতা বলেছিলেন, এবার তাঁর ফোকাস হবে শিল্পায়ন। কয়েকদিন আগে একটি প্রশাসনিক বৈঠকে শিল্প নির্মাণের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বাধা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছিলেন, কে এত বড় নেতা হয়েছে যে কারখানা আটকাচ্ছে?

এদিন প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় থেকে বেরিয়ে মমতা বলেন, “আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি, রাজনীতি রাজনীতির জায়গায় থাকবে। আপনার দলের রাজনৈতিক মতাদর্শ এক আমাদের অন্য। কিন্তু গণতন্ত্রে কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক মসৃণ হওয়া উচিত।” দিল্লি থেকে ফিরেই মুম্বইয়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে শিল্পকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মমতা।

 ত্রিপুরার সন্ত্রাস নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে নালিশ মমতার

আগামীকাল বৃহস্পতিবার ত্রিপুরার পুরসভা (tripura) নির্বাচনের জন্য ভোট গ্রহণ করা হবে। তার কয়েক ঘন্টা আগে বুধবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে ত্রিপুরার রাজনৈতিক সন্ত্রাস নিয়ে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ত্রিপুরায় এসব কী হচ্ছে! আপনি বিষয়টি দেখুন। আমাদের লোকেদের উপর সন্ত্রাস হচ্ছে। সায়নী ঘোষ একজন জনপ্রিয় শিল্পী, তাঁর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করে তাঁকে গ্রেফতার করা হল। ওখানে গণতন্ত্র বিপন্ন।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে বেরিয়ে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ হল, বাংলায় রাজনৈতিক সন্ত্রাস নিয়ে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহরা একাধিকবার সরব হয়েছেন। বাংলায় কেন্দ্রীয় সরকারের টিম পাঠিয়েছেন অমিত শাহ। এই প্রথম উল্টো চিত্র দেখা গেল।বিজেপি শাসিত রাজ্যের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সন্ত্রাসের অভিযোগ সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পেশ করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Previous articleমুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে চাকলা ও কচুয়া ধাম পরিদর্শন বনমন্ত্রীর
Next articleত্রিপুরার পুরভোটে মাথা ফাটল তৃণমূলের এজেন্টের, প্রার্থীদের বাড়িতেও হামলা,অভিযোগের তির শাসক দল বিজেপি-র দিকে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here