দেশের সময়ওয়েবডেস্ক: সাতবছর ধরে লড়াই। তাও আবার বিনা পারিশ্রমিকে। শেষমেশ নির্ভয়ার চার ধর্ষককে ফাঁসিকাঠে ঝুলিয়েই দিলেন সীমা কুশওয়াহা। কে এই সীমা কুশওয়াহা ? ইনি সেই মহিলা আইনজীবী যিনি গত সাত বছর ধরে ন্যায়বিচারের জন্যে আদালতে যুক্তিতর্কের লড়াই করেছেন।
ইনি সেই আইনজীবী যিনি নিজের পেশার খাতিরে নয়, দীর্ঘদিন এই মামলা লড়েছেন শুধু মানবিকতার খাতিরে। গত ৭ বছর ধরে নির্ভয়ার পরিবারের সুখদুঃখের সঙ্গী ছিলেন তিনি। না, নির্ভয়ার বাবা-মায়ের কাছ থেকে মামলা লড়ার জন্যে একটি টাকাও পারিশ্রমিক নেননি তিনি। শুক্রবার সকাল থেকেই টুইটারের শীর্ষে ট্রেন্ড করছে SeemaKushwaha। কথায় বলে ‘ভাগ্য সাহসীদের সঙ্গে থাকে’।
#SeemaKushwaha
Take a moment to thank Adv Seema Kushwaha. She must b appreciated. Thnx ma'am fr ur efforts pic.twitter.com/bj7Y3aeGjI— manorama singh (@manoramasingh3) March 20, 2020
সেই প্রবাদ মেনেই শুক্রবার সাফল্যের হাসি হাসেন আইনজীবী সীমা কুশওয়াহা। নির্ভয়া মামলার চার আসামিকে ফাঁসিতে ঝোলানোর সঙ্গে সঙ্গে টুইটারে অসংখ্য মানুষ অভিনন্দনের বন্যায় ভাসিয়ে দিয়েছেন ওই আইনজীবীকে। শুক্রবার সকাল থেকেই টুইটারে একজনই ‘হিরো, সীমা কুশওয়াহা’। টুইটারে মানুষজন এভাবেই সীমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিহার জেলে ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পর সীমা কুশওয়াহাকে সবচেয়ে আগে অভিনন্দন জানান নির্ভয়ার মা আশা দেবী। তিনি বলেন, ওই আইনজীবী ছাড়া এই যুদ্ধে জেতা সম্ভব হতো না তাঁদের পক্ষে।
নির্ভয়ার গণধর্ষণ ও হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত মুকেশ, অক্ষয়, বিনয় এবং পবনকে শুক্রবার ভোরেই ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হল। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল গোটা দেশ। গত সাত বছর ধরে আইনের লড়াই চালিয়ে যেতে হয়েছে নির্ভয়ার বাবা–মাকে। দিতে হয়েছে ধৈর্য্যের পরীক্ষাও। অবশেষে ন্যায়বিচার পেলেন নির্ভয়া। ফাঁসির একদিন আগে বৃহস্পতিবারও দিল্লি হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টও আবেদন করে বাঁচার চেষ্টা করে অপরাধীরা। কিন্তু তাদের সেই চেষ্টা বিফলে যায়। নজিরবিহীনভাবে একসঙ্গে চার আসামিকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয় দিল্লির তিহার জেলে।