দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ লকডাউনের পর বুধবার প্রথম বার কোনও জনসভা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশ সালে ভোট হবে বাংলায়। সুতরাং এদিনের বক্তৃতার তেজ, তাপ ও ধার যে উঁচুর দিকে থাকবে সেটাই প্রত্যাশিত ছিল। হয়েছেও তাই। প্রায় পৌনে ঘণ্টার সেই বক্তৃতা থেকে দশটি বাছাই রাজনৈতিক তোপ বা মন্তব্য বাছাই করে নিয়েছে ‘দেশের সময়’। যেগুলির রাজ্য রাজনীতিতে বা তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির জন্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
সেগুলি নিচে দেওয়া হল-
• সিপিএম সব থেকে বড় লোভী, বিজেপি সব থেকে বড় ভোগী। আর তৃণমূল কংগ্রেস যদি করতে হয় আপনাদের হতে হবে ত্যাগী। সিপিএমের যে হার্মাদরা আপনাদের উপর অত্যাচার করত। তারাই আজ রঙ বদলে বিজেপি হয়েছে। ওদের দেখে আরও লজ্জা লাগে। বিজেপির পা চাটছে।
• ভোট এলেই তৃণমূলকে ভয় দেখানো, যাতে তৃণমূলের কিছু লোক ভয় পেয়ে ওদের সঙ্গে চলে যায়। বলছে, কী করবে? হয় ঘরে থাকো না হলে জেলে থাকো। আমি বলছি, ক্ষমতা থাকলে আমাকে অ্যারেস্ট কর। আমি জেলে থেকে তৃণমূলকে জেতাব।
• সকাল থেকে উবাচ শুরু হয়ে যায়। বলছে, গরুর মূত্র থেকে সোনা পাওয়া যায়। তা আপনি একটু সোনা বের করে দেখান না! তা হলে আমি বেশি করে গরু দেব গ্রামের মানুষদের।
• সাঙ্গো পাঙ্গ, দেবাঙ্গ, ব্রহ্মাঙ্গ, অঙ্গ প্রত্যঙ্গ, অস্ত্রাঙ্গ সব নিয়ে এসে ছবি তোলার জন্য পাত পেড়ে খাওয়া আর মানুষকে মিথ্যা কথা বলা…. একটা গারবেজ অফ লাইজ পার্টি। মিথ্যের ডাস্টবিন।
• যা করেছি তা নতুন করে বলতে চাই না। পৃথিবীর কোনও রাজ্য তা করে দেখাতে পারবে না।
• কোনও ব্যক্তির উপর রাগ থাকতেই পারে, কিন্তু তার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসকে ভুল বুঝবেন না। আমরাও রিপোর্ট নিই। রিপোর্ট কার্ড খারাপ থাকলে বলি তুমি দূরে থাকো। আমি নতুন ছেলে মেয়ে তৈরি করে নেব।
• কেউ কেউ ভাবছে এখন থেকে লাইনটা করে রাখি। বাই চান্স যদি ওরা ক্ষমতায় চলে আসে। আরে চান্সই নেই তো বাই চান্স!
• অনেকে ভাবেন, বাঁকুড়া জেলার কে অবজার্ভার, পুরুলিয়ার কে, মেদিনীপুর কে দেখবে, আসানসোল কে দেখবে? তাদের বলছি, সারা বাংলায় আমিই এখন অবজার্ভার। ব্লক থেকে ব্লকে কে কী করছে, কে কাকে কনট্যাক্ট করছে, কার সঙ্গে কে যোগাযোগ রাখছে, প্রত্যেকটা হিসাব আমি এ টু জেড আমি খবর রাখি।
• দু-একজনকে দেখবেন, হয়তো তৃণমূল করেন আবার এদিক ওদিক যোগাযোগ রাখেন। ভাববেন না দিদি জানে না, দিদি ওঁদের ছেড়ে রেখেছে। আমরা মনে করি ওঁরা ধান্দাবাজ। এই ধান্দাবাজদের একটা গোষ্ঠী রয়েছে। তাদের সংখ্যা খুব কম। রাতের অন্ধকারে দেড়টা দুটোয় কে যাচ্ছে। নজর রাখুন। কে কার সঙ্গে ফোনে কথা বলছে। কে কাজ ছাড়া গাড়ি করে বেরিয়ে যাচ্ছে সব নজরে রাখুন।
• অনেক টাকা হয়েছে না! হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ টাকা। ফোন করে তৃণমূল কর্মীদের বলছে, শোন তোকে ২ কোটি টাকা দেব চলে আয়। কোনও একটা এমএলএ-কে বলছে এখন ১৫ লক্ষ টাকা দিচ্ছি পরে আরও দেব। যারা টাকা দিয়ে বাংলা দখল করতে চাইছে, তাদের বলে রাখি, বাংলা টাকার কাছে মাথানত করে না।