দেশের সময়, গাইঘাটা: এক বিজেপি নেতার ভাড়া বাড়িতে রমরমিয়ে চলছিল মধুচক্র। আর সেই মধুচক্রের আসর থেকে এক যুবতী ও দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার রামপুর এলাকার এলাকার এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার রাতে গাইঘাটা থানার রামপুর এলাকার বিজেপির মন্ডল সভাপতি বিশ্বজিৎ ঘোষের একটি ভাড়া বাড়ি রয়েছে। অভিযোগ, ওই বাড়িতে প্রায়ই বাইরের পুরুষ ও মহিলাদের আনাগোনা ছিল। সন্দেহ, সেখানে দেহ ব্যবসার আসর বসতো এবং তার শুটিংও হতো। রবিবার রাতেও মধুচক্রের আসর বসে। স্থানীয় মানুষেরা ওই বাড়িতে বহিরাগতদের যাতায়াত করতে দেখা যায়।
স্থানীয়দের কাছ থেকে সেই খবর পেয়ে গাইঘাটা থানার পুলিশ সেখানে হানা দেয়। পুলিশ সেখানে দুজন পুরুষ এবং একজন মহিলাকে আপত্তিজনক অবস্থায় দেখতে পায়। মধুচক্রের আসর বসানোর অভিযোগে পরে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের বাড়ি গাইঘাটা এবং হালিশহর এলাকায়। এই ঘটনায় অভিযুক্ত বিজেপি নেতা বর্তমানে পলাতক।
এই ঘটনা সম্পর্কে অভিযুক্ত বিজেপি নেতা বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, ওই বাড়িটি তার কেনার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তিনি বাড়িটি কেনেননি ফলে বাড়িটি তার নয়। রাজনৈতিক কারণে তাকে ফাঁসানো হয়েছে।
তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি আলোরানী সরকার বলেন বিজেপির দূর্নীতি এবং খারাপ কাজের জন্যই ওই দল ছেড়ে দিয়ে তৃণমূলের ছত্রছায়ায় চলে আসছেন হাজার হাজার কর্মী সমর্থক৷ পাশাপাশি আরও বলেন পুলিশ খুবই সক্রিয় গাইঘাটায়,সেইজন্যই এদিন মধুচক্র ধরছে এতে প্রমাণ হল বিজেপির নেতারা এখানে কত খারাপ কাজে লিপ্ত । পুলিশ প্রশাসন এখানে খুবই ভাল কাজ করেছেন ফলে অনেক বড় বড় বিজেপি নেতার আসল রুপ সামনে আসছে।
এই ঘটনায় পুলিশ স্বতপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে। সোমবার ধৃতদেরকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।