দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ গেরুয়া শিবিরে ফের ভাঙন। জল্পনা সত্যি হল! বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন মুকুল ঘনিষ্ঠ তপন সিনহা। যদিও এই প্রসঙ্গে বিজেপি কিছু না বললেও যথেষ্ট অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। দেখুনভিডিও:
প্রসঙ্গত, মুকুল রায়ের ঘাসফুল শিবিরে প্রত্যাবর্তনের দিনই বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সহ সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। সেই সঙ্গে একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে বিজেপির নেতা-কর্মীদের সম্মান জানান তপন সিনহা। সাম্প্রতিককালে ঠিকমতো কাজ করতে পারছেন না বলে ওই ভিডিওবার্তায় জানান। তবে তিনি ব্যক্তিগতভাবে কাউকে কিছু বলেননি। বিজেপি থেকে মুকুল তৃণমূলে যোগদান দিতেই জল্পনা শুরু হয়েছিল। এমনকী সেই ভিডিও বার্তায় মুকুল রায়কে তাঁর রাজনৈতিক গুরু বলে সম্বোধন করেন তিনি।
গতকাল বিকেলে গোবরডাঙ্গার টাউনহলে পুরসভার প্রশাশক সুভাষ দত্তের হাত ধরে তৃণমূলে ফিরলেন তিনি। দলত্যাগী নেতাদের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়লেও তপন সিনহার বিরুদ্ধে কোনও জায়গায় পোস্টার পড়েনি।
এলাকায় খুবই পরিচিত এই নেতার ফের পুরনো দলে যোগদান প্রসঙ্গে গোবরডাঙা শহর তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি শংকর দত্ত জানান, ‘যাঁরা এতদিন বিজেপি করছিলেন, তাঁরা দলটার ওপর হতাশ ও ক্ষুব্ধ। বিজেপির মিথ্যাচার, ভাঁওতাবাজিতে তাঁরা অতিষ্ঠ। তাই তাঁরা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন যজ্ঞে সামিল হতে চান।প্রায় ৩০০ জন বিজেপি কর্মী এবার তৃণমূলে যোগ দিলেন।’ জানা যায়, গত শনিবার সন্ধ্যায় গোবরডাঙা টাউনহলে তৃণমূল কর্মীদের এক রাজনৈতিক সমাবেশ হয়েছিল। সেই সমাবেশে যোগ দেন মুকুল ঘনিষ্ঠ তপন সিনহা। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, বর্ষীয়ান এই নেতার যোগদানের ফলে এলাকায় তৃণমূল সাংগঠনিকভাবে আরও শক্তিশালী হবে বলেই মনে করা হচ্ছে
বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বনস্পতি দেবকে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন তপন। ইস্তফা দিয়ে ক্ষোভের সুরেই তৃণমূলের এই নেতা জানিয়েছিলেন, বেশ কিছুদিন ধরেই দলের হয়ে কোনও কাজ করতে পারছিলেন না। বিগত কয়েকদিন ধরে বিজেপির কোনও কর্মসূচির ব্যাপারে তাঁকে জানানো হচ্ছিল না বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন এলাকায় ‘খোটেদা’ বলে পরিচিত এই নেতা। উল্লেখ্য, গত বিধানসভা নির্বাচনে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৬টি আসনেই জয়লাভ করেছে বিজেপি। কিন্তু তারপরেও কেন বিজেপিতে ভাঙন, তা নিয়েই এবার প্রশ্ন দেখা দিল।
প্রসঙ্গত, মুকুল রায়ের প্রত্যাবর্তনের পর বিজেপিতে ভাঙন শুরু হয়েছে। যার ফলে বেশ অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির