দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে তুলকালাম কাণ্ড হল হাওড়ায়। বিজেপির যুব মোর্চার কর্মী সমর্থকদের রুখতে আগে থেকেই ব্যারিকেড করা হয়েছিল পাঁচটি জায়গায়।
- বিজেপির নবান্ন অভিযান রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় হাওড়া ময়দান। বিজেপি কর্মীর থেকে উদ্ধার হয় অস্ত্র।
- প্রবল উত্তেজনা হেস্টিংস মোড়েও। মিছিল এগোতে বাধা দেওয়ায় তুমুল বাক-বিতণ্ডা বাঁধালেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা।
- মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে পুলিশকে লক্ষ করে ইটবৃষ্টি করা হয় বলে অভিযোগ।
বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুর নেতৃত্বে সাঁতরাগাছির দিক থেকে মিছিল এলে বাধা দেয় পুলিশ। পুলিশের ব্যরিকেড ভেঙে এগোতে গেলে জলকামান ছুড়তে শুরু করে পুলিশ। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। বিজেপির কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে ব্যপক লাঠিচার্জ করে পুলিশ। কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন বহু কর্মী।
এদিকে অভিযান ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় হাওড়া ময়দানও। এখানেও বিজেপি কর্মীদের আটকাতে তুমুল লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এই মিছিল থেকেই মেলে একটি অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র। আসানসোলের অ্যাসিসট্যান্ট কমিশনার তথাগত পান্ডে এই আগ্লেয়াস্ত্রটি উদ্ধার করেন। পুলিশের হামলা চালাতেই বিজেপির কর্মী সমর্থকরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মিছিলে এসেছে বলে অভিযোগ করে পুলিশ।
বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের পাল্টা অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তাঁদের মিছিলে ঢুকেছে বিজেপির নেতা কর্মীদের মারার জন্য।
বিজেপির নবান্ন অভিযান ঠেকাতে তত্পর ছিল পুলিশ। হাওড়া ময়দান ও সাঁতরাগাছিতে ড্রোনে নজরজদারি চালানো হয়। হাওড়া ময়দানে মোতায়েন ছিল রোবো কপ। হুগলি থেকে হাওড়ায় ঢোকার সমস্ত রাস্তাতেই ছিল পুলিশের তল্লাশির ব্যবস্থা।
#WATCH West Bengal: Police use drone to keep a vigil on BJP workers protesting at Hastings in Kolkata as part of state-wide 'Nabanna Chalo' agitation launched by the party today against the alleged killings of their workers pic.twitter.com/vexs1wdc5H
— ANI (@ANI) October 8, 2020
করোনাবিধি শিকেয়। সামাজিক দূরত্ব অবজ্ঞা করেই নবান্নের পথে মিছিল বিজেপি কর্মীদের। আটকাতে কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ল পুলিশ। লাঠি চালাল।
এদিকে শহর জুড়ে বোমাবাজি, তাণ্ডবের অভিযোগ উঠল বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। যদিও বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় আঙুল তুললেন বাংলার প্রশাসনের দিকে। বললেন, ‘পুলিশ আমাদের কর্মীদের ওপর লাঠি চালাচ্ছে। খিদিরপুর থেকে যে ইঁটবৃষ্টি হচ্ছে, পুলিশ কি তা চোখে দেখছে না!’ ডানকুনিতে বিজেপি সমর্থকদের উপর পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে বলে অভিযোগ। ইএম বাইপাসে বিজেপি কর্মীরা বিক্ষোভ দেখান। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়।
হাওড়া ব্রিজ এবং দ্বিতীয় হুগলি সেতু আগে থেকেই বন্ধ করে রেখেছে পুলিশ। হাওড়া ব্রিজে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। দু’টি জলকামান গাড়ি রয়েছে সেখানে। রয়েছে দমকলবাহিনী।