দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আর কিছুক্ষণেই খানাকুলে পৌঁছবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আজ বুধবার সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, এ দিন আকাশপথে হুগলির খানাকুল এবং হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর ও আমতা ঘুরে দেখবেন মুখ্যমন্ত্রী। খানাকুলে প্রশাসনিক বৈঠক করার কথা তাঁর। ইতিমধ্যেই খানাকুলে অস্থায়ী হেলিপ্যাড নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে বন্যা কবলিত এলাকাগুলি থেকে দুর্গতদের উদ্ধারের কাজ চালাচ্ছে প্রশাসন। হুগলির আরামবাগ সাবডিভিশনে বায়ুসেনা নামানো হয়েছে ইতিমধ্যেই। কিছুক্ষণের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসে পৌঁছবেন খানাকুলের ঘোষপুরে। এখানেই মুখ্যমন্ত্রীর অস্থায়ী হেলিপ্যাড করা হয়৷
বাড়ি ঘর ডুবে গেছে। টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে হুগলির খানাকুলে৷ জলবন্দি হয়ে পড়েছেন বহু মানুষ৷ চতুর্দিকে শুধু জল আর জল৷ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্থানীয়দের দাবি, নতুন করে যাতে তাদের বাড়ি ঘরদোর দেওয়া হয়। প্রত্যেক বছরই বন্যা হচ্ছে। এখানে একটি অস্থায়ী ত্রাণশিবির করা হয়েছে। যেখানে ১৫০ জনেরও বেশি দুর্গতদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর এই আশ্রয় শিবিরে আসার কথা রয়েছে৷
উল্লেখ্য, প্রবল বৃষ্টি এবং ডিভিসি-র তরফ থেকে জল ছাড়ার কারণে প্লাবিত দক্ষিণবঙ্গের একাধিক এলাকা। জানা গিয়েছে, আড়াই লাখ মানুষ এই মুহূর্তে ঘরছাড়া। সোমবারই রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী অন্যান্য মন্ত্রীদের বলেন, ‘নিজের জেলায় বানভাসিদের পাশে থেকে কাজ করুন। ত্রাণ যেন সময় মতো পৌঁছে দেওয়া হয় সেটা দেখুন। সমস্যা হলে ত্রাণমন্ত্রী জাভেদ খান ও জলসম্পদ অনুসন্ধান মন্ত্রী মানস ভুঁইঞার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।’
ওই দিন সকালেই এয়ার ফোর্সের চপারে করে হুগলির খানাকুলে আটকে পড়া ৩১ জন বাসিন্দাদের উদ্ধার করা হয়েছে গত সোমবার। তাঁদের আরামবাগ গার্লস কলেজে রাখা হয়েছে।এ ছাড়াও নিরাপদ স্থানে একাধিক ত্রাণ শিবির গড়ে তোলা হয়েছে আর্তদের জন্য।