রিমিল সেন, ঠাকুরনগর: ৪ঠা জুলাই ২০২১ : ট্রেন চলাচল বন্ধ, বেড়ে চলেছে করোনা আতঙ্ক, ভ্যাকসিন পায়নি সব মানুষ,তবু সংসার চালাতে ব্যবসায় যোগ দিচ্ছেন আবার।
এমন ছবিই আজ দেখা গেল ঠাকুরনগর ফুল বাজারে। দেখুন ভিডিও:
উত্তর চব্বিশ পরগনার মধ্যে ঠাকুরনগরের ফুল বাজারের খ্যাতি দেশে এমনকি বিদেশেও ।পশ্চিমবঙ্গে হাওড়ার পরেই ঠাকুরনগর দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে ফুলের জন্য। কিন্তু এখন করোনার এই দুর্বিসহ পরিস্থিতির মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে কাজে নেমেছেন বহু মানুষ। ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় এই ফুল বিক্রেতারা সমস্যার মুখে পড়েছেন।
যাতায়াতের অসুবিধার কারণে সপ্তাহে চারদিন করে খোলা থাকছে ফুল মার্কেট। কিন্তু লকডাউনের কারণে বিক্রি-বাট্টা ঠিকঠাক হচ্ছে না বলেই জানাচ্ছেন ফুলবিক্রেতারা। কিন্তু বাজারের মধ্যে তো বিধিনিষেধ এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না কোনোভাবেই,দেখা যাচ্ছে উপচে পড়া ভিড়।
এ বিষয়ে ফুল বাজার এ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদ পিনাকি বিশ্বাস দেশের সময়’কে জানান, “মূলত ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই সমস্যাগুলো চলবে।ট্রেন চলাচল শুরু হলে ফুলবিক্রেতারা আবার তাদের স্বাভাবিক ব্যাবসা জীবনে ফিরতে পারবেন।এছাড়া বিধিনিষেধের কথাও বলা হয়েছে।প্রত্যেককে স্যানিটাইজার এবং মাস্ক ব্যবহার করতে বলা হচ্ছে।এছাড়া দোকানগুলোর মধ্যে দূরত্ব বজায় রাখা,ভিড় কম করার কথাও আমরা প্রতিনিয়ত প্রচার করছি।
মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং জেলাশাসক দুহাজার ভ্যাকসিন এর আয়োজন করেছেন ফুলবিক্রেতাদের জন্য।তার মধ্যে থেকে এক হাজার ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে এবং পরবর্তীতে আরও এক হাজার ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে। কিছুদিন আগে কোভিড টেস্ট করা হয়,সেখানে ১০০জনের মধ্যে মাত্র একজনের পজিটিভ রিপোর্ট ধরাও পড়েছে,এবং তাকে হোম আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল বাজার কমিটির পক্ষ থেকে।এছাড়া যারা সরকারি বিধিনিষেধ মানছেন না তাদেরকেও বোঝানো হচ্ছে।প্রতিনিয়ত প্রচার চলছে।এবং বেলা ১১টার মধ্যে বাজার বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।আশা করা যায় এভাবেও কঠোর বিধিনিষেধ মানা হলে আমরা দ্রুত এই কোরোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারবো।”