দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ করোনার সংক্রমণস্ফীতির সঙ্গে সঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনা তথা সারা দেশ জুড়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। তা থেকে রেহাই পাচ্ছেন না ডাক্তার বা স্বাস্থ্যকর্মী কেউই।
বনগাঁর ডা: জীবনরতন ধর মহাকুমা হাসপাতালে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে করোনা আক্রান্ত ২৫ জন। তাদের মধ্যে সার্জিক্যাল আউটডোরের দু’ই চিকিৎসকই আক্রান্ত হওয়ায় সাময়িক ভাবে বন্ধ হল সার্জিক্যাল আউটডোর।
মহাকুমা হাসপাতালের সুপার শঙ্করপ্রসাদ মাহাতো জানান, হাসপাতালে ১০ জন ডাক্তার এবং নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে আরও ১৫ জন আক্রান্ত।
গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরও সাত জন আক্রান্ত হয়েছেন। আর তার জেরেই সার্জিক্যাল আউটডোর বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে অন্য আউটডোর পরিষেবাগুলি চালু থাকবে বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দেন শঙ্করপ্রসাদ।
করোনা পর্বে বড় ভরসা ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আরটিপিসিআর পরীক্ষাগার। অথচ সেই পরীক্ষাগারের সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসক, টেকনিশিয়ান এবং কর্মীদের অনেকেই করোনায় আক্রান্ত। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে কোভিড আক্রান্ত হয়েও পরীক্ষাগারে কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে তাঁদের।
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে খবর, হাসপাতালের ১১৫ জন কর্মীর করোনা। এর মধ্যে চিকিৎসক জনা পঞ্চাশেক। তবে সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মেডিক্যাল কলেজের পরীক্ষাগারে। এই পরীক্ষাগারে মোট ২৬ জন কর্মী। তার মধ্যে তিন জন মলিকিউলার বায়োলজি বিশেষজ্ঞ এবং বাকিরা টেকনিশিয়ান এবং হাউসস্টাফ। ২৬ জনের মধ্যে তিন জন বিশেষজ্ঞ-সহ ২২ জনই করোনায় আক্রান্ত। আগে এই পরীক্ষাগার থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে আনা নমুনা পরীক্ষা করা হত৷ প্রতি দিন সেই নমুনার সংখ্যা ছিল দেড় হাজারের কাছাকাছি। কিন্তু পরীক্ষাগারের বেশির ভাগ কর্মীই কোভিড আক্রান্ত হওয়ায় টেস্টের সংখ্যা কিছুটা কমানো হয়েছে।
করোনা পরীক্ষা করতে আপাতত নমুনা কলকাতায় পাঠানোর জন্য স্বাস্থ্য দফতরের কাছে আবেদন করেছেন ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। এক চিকিৎসক জানান, ‘‘হাসপাতালে অনেকেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। পরিষেবা কিছুটা বিঘ্নিত হচ্ছে। কোভিড আক্রান্ত হয়েও কাজ চালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন করোনা পরীক্ষাগারের চিকিৎসক এবং কর্মীরা। আপাতত টেস্টের সংখ্যা কমানো হলেও ল্যাব একেবারে বন্ধ করা হচ্ছে না।’’