দেশের সময়, বনগাঁ: বনগাঁ পুরসভার পরবর্তী প্রধান কে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত ঝুলে রইল। বুধবার এই নিয়ে জেলাস্তরে দীর্ঘসময়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও এদিন চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি জেলা নেতৃত্ব । তারা এ ব্যাপারে রাজ্য নেতৃত্বের উপরে দায়িত্ব অর্পণ করেছে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দিন কয়েক আগেই বনগাঁ পৌরসভার বর্তমান প্রধান শংকর আঢ্যর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, দুর্ব্যবহার সহ নানা অভিযোগ তুলে ১১ জন দলীয় কাউন্সিলর বনগাঁর মহকুমা শাসকের কাছে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন।
পরদিন উপপ্রধান কৃষ্ণা রায়ের নেতৃত্বে দলের আরও তিনজন কাউন্সিলর সহমত জ্ঞাপন করে অনাস্থা আনেন। তারই প্রেক্ষিতে বনগাঁর রাজনৈতিক মহলে নানা গুঞ্জন শুরু হয়। বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার জন্য বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলরদের কারও কারও সঙ্গে বৈঠক করেন পুরপ্রধান। কিন্তু সে ক্ষেত্রে আশানুরূপ ফল কিছু হয়নি। ইতিমধ্যেই বিদ্রোহী কাউন্সিলররা এলাকা ছেড়ে এক প্রকার আত্মগোপন করে রয়েছেন। তার মধ্যে তারা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এর সঙ্গে দেখা করে তাদের মতামত জানিয়ে এসেছেন।
তাদের সেই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এ ব্যাপারে জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা বলেন পুরমন্ত্রী। এরপর আজ বারাসতে সেই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় । বৈঠকে দলের সমস্ত কাউন্সিলর, পুরপ্রধান, বিধায়ক সহ একাধিক কর্মধক্ষ সর্বোপরি জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক উপস্থিত ছিলেন। সেখানে কাউন্সিলেরা তীব্র ভাষায় তাদের মতামত প্রকাশ করেন। একইভাবে সমালোচনায় মুখর হন বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস।
শেষ পর্যন্ত প্রধানের অপসারণের দাবিতে অনড় থাকেন বিদ্রোহী কাউন্সিলররা। এই পরিস্থিতিতে জেলা নেতৃত্ব কাউন্সিলরদের এই অনড় মনোভাবের কথা লিখিত আকারে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এর কাছে জানানোর সিদ্ধান্ত নেন। তার কাছে এই বিষয়টি জানানোর পর ১৫ ই জুন তিনি এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন। সূত্রের খবর কাউন্সিলরদের মতামতকে মান্যতা দিতে পারেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এখন সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন কাউন্সিলর সহ বনগাঁর সাধারণ মানুষ।
এ ব্যাপারে জেলার বিজেপি নেতা দেবদাস মন্ডল বলেন, তৃণমূলের কোন কাউন্সিলর থাকবে কি থাকবেনা সেটা ওই দলের অভ্যন্তরিন ব্যাপার ,এই বিষয়ে বিজেপি দলের তরফে কোন মন্তব্য করবোনা৷
বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, কাউন্সিলরেরা বনগাঁর মানুষের পাশে থেকে তাদের দাবি তুলে ধরতেই এই বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন। তাদের কথা দলের শীর্ষ নেতৃত্বের ভাবা উচিত।