দেশের সময় ওয়েব ডেস্কঃ বনগাঁ ও হালিশহরের পর এবার নৈহাটি। নৈহাটি পুরসভাও দখলে রাখল তৃণমূল। আস্থাভোটে ২৪–০ ব্যবধানে বিজেপিকে হারিয়ে জয় পেল শাসক দল। আস্থাভোটে গড়হাজির সাত বিজেপি কাউন্সিলর। শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশেই আস্থাভোটে হাজিরা দেননি বিজেপি কাউন্সিলররা। এমনটাই দাবি করেছেন বিজেপি কাউন্সিলর গনেশ দাস।
প্রশাসনের তরফ থেকে সবরকম চেষ্টা করা হয়েছিল। গাড়ি পর্যন্ত পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু কোনও বিজেপি কাউন্সিলরই এই আস্থা ভোটে অংশগ্রহণ করতে রাজি হননি। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে এই ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। প্রায় ৪০ মিনিট পর ফল ঘোষণা করা হয়। আস্থাভোটে জয় লাভ করলেন নৈহাটি পুরসভার পুরপ্রধান অশোশ চ্যাটার্জি। তৃণমূল পরিচালিত এই পুরসভায় গত ৩১ মে বিজেপি কাউন্সিউলররা অনাস্থা এনেছিলেন।
হাইকোর্টে মামলাও করেছিলেন বিজেপি কাউন্সিলররা। গত ২৫ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল যে এই পুরসভার ভোট প্রক্রিয়া জেলাশাসকের দপ্তরে জেলাশাসকের উপস্থিতিতে করতে হবে। সেইমতো বেলা ১১ টা নাগাদ ভোটপ্রক্রিয়ার সময় ঠিক হয়। সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যেই সব তৃণমূল কাউন্সিলররা পৌঁছে যান জেলাশাসকের দপ্তরে। কিন্তু কোনও বিজেপি কাউন্সিলরকেই দেখা যায়নি সেখানে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকেও ঘোষণা করা হয়, যাঁরা ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় এখনও অংশ গ্রহণ করেননি, তাঁরা শীঘ্র অংশ গ্রহণ করুন। ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া পরিচালনা করেন উপপুরপ্রধান জেলাশাসকের উপস্থিতিতে।
পুরপারিষদ সনত দে জানিয়েছেন, ‘আমরা এখনও নৈহাটি পুরসভায় যাব।
সেখানে সব কাউন্সিলরদের সঙ্গে আলোচনা করে কাজ শুরু করে দেব।’ নৈহাটি পুরসভার পুরসভার পুরপ্রধান অশোক চ্যাটার্জি জানিয়েছেন, আমরা জানতাম আস্থাভোটে জয় পাব। বিজেপি কাউন্সিলরদের সন্ত্রাসের কারণে পুরসভার অনেক কাজ আটকে ছিল। এবার আমরা আবার কাজ শুরু করে দেব।’