দেশের সময়, বনগাঁ: দরজার কড়া নাড়ছে পুরসভা নির্বাচন, তার আগেই বনগাঁ পুরসভার উদ্যোগে এই শহরের কয়েক হাজার মানুষকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় আনা হল।
শুক্রবার দুপুরে খেলাঘর ময়দানে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উপভোক্তাদের হাতে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড তুলে দিলেন বনগাঁর পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্য। উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন পুরপ্রধান জ্যোৎস্না আঢ্য, তাপস মুখার্জি–সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং অন্যরা।
এদিন খেলাঘর ময়দানে প্রতিটি ওয়ার্ডের জন্য অতিরিক্ত কাউন্টার খোলা হয়। সেখান থেকেই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে নথিভুক্ত উপভোক্তাদের হাতে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড তুলে দেওয়া হয়। পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্য জানান, ‘ইতিমধ্যে বনগাঁ পুরসভার উদ্যোগে ৮২৪৫টি পরিবারের ৪১ হাজার মানুষকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। এদিন ৬২২৫টি পরিবারের প্রায় ৩১ হাজার মানুষকে নতুন করে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়ের উদ্যোগে এই প্রকল্পের উপভোক্তারা নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসার জন্য বছরে দেড় লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সরকারি সহযোগিতা পাবেন।
এই প্রকল্পে নথিভুক্তদের একটি করে কার্ড এবং একটি বই দেওয়া হচ্ছে। সেখানে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের সরকারি এবং বেসরকারি চিকিৎসা–কেন্দ্রের তালিকা দেওয়া রয়েছে। সেখানে এই কার্ড দেখিয়ে চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনে অন্য কোথাও চিকিৎসা করালেও সে ব্যাপারে আর্থিক সহযোগিতা করবে সরকার।’
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘বনগাঁয় যে পরিমাণে উন্নয়নের কাজ হয়েছে, তাতে আগামী পুরসভা নির্বাচনে পুর নাগরিকেরা তৃণমূল প্রার্থীদের জয়ী করিয়ে পুরবোর্ড গঠনে সহযোগিতা করবেন। রাজ্যজুড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়ের নেতৃত্বে উন্নয়নের জোয়ার বইছে। উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমাদের নেত্রী দল দেখেন না। এমন উন্নয়ন গোটা দেশের কাছে নজিরবিহীন।
তিনি আরও বলেন,বনগাঁর সমস্ত মানুষের পাশে পুরসভা বন্ধুর মত আছে এবং আগামী দিনেও থাকতে বদ্ধপরিকর।তাঁদের সুখ দুঃখ্যের সাথী হয়ে থাকতে চাই আমিও, মানুষের জন্য কাজ করে তৃপ্তি পাই ,তাই পুরসভার মাধ্যমে আগামীদিনেও অসম্পূর্ণ কাজ গুলি দ্রুত সম্পূর্ণ করে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাব।
উপভোক্তার হাতে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড তুলে দিচ্ছেন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্য। ছবি: দিব্যেন্দু পোদ্দার।