পঞ্জীকা মেনে এবছরের মতো শেষ হলো দুর্গাপুজো শুক্রবার বিজয়া দশমীতে মিষ্টি , পান, সুপুরি, আর সিঁদুরে বরণের পর দেবীকে কৈলাস পাঠাতে ব্যস্ত ছিলেন বাঙালিরা। দশমীর পুজো শেষে দর্পণ বিসর্জনের পরই দেবীবরণের পালা। বরণ শেষে সিঁদুরখেলায় মাতল বাঙালি গৃহিনীরা। স্বামীর মঙ্গলকামনায় এই সিঁদুরখেলা বঙ্গবধূদের কাছে বরাবরই এক বিশেষ আকর্ষণ। তবে এদিনের ব্যস্ততায় পুজোর আনন্দের পাশাপাশি ছিল বিষাদের সুর। বাড়ির পুজোগুলি রীতি মেনে দশমীতেই বিসর্জন হয়ে গেল। বনগাঁ ইছামতী ঘাটে পুরসভার উদ্যোগে আজ কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিস প্রশাসন। এছাড়া বিকেল থেকে বিসর্জনের শোভাযাত্রার জন্য রাস্তায় যান চলাচলের ক্ষেত্রেও বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তবে দশমীতেও মুহূর্তের ঠাকুর দেখা বাদ পড়েনি বাঙালির। পুজোর শেষ আনন্দটুকুও পুরোপুরি উপভোগ করতে এদিনও সকাল থেকে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে চলছে প্রতিমা দর্শন। তাই এদিন বিসর্জনের নিরাপত্তার সঙ্গে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিয়েও তৎপর পুলিস। শুক্রবার দুপুরে এ রাজ্যেরখাদ্য ও খাদ্য সরবরাহ মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লীক বনগাঁ শিমুলতলা আয়রন গেট ক্লাব এবং মতিগজ্ঞ ১৫পল্লী যুবগোষ্ঠী’র পুজো মন্ডপ ঘুরে দেখেন, এদিন তিনি বলেন ‘বনগাঁর চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যর এবারের পুজোমন্ডপ কলকাতার শ্রীভূমির মন্ডপের সাথে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে গেছে, পাশাপাশি জ্যোৎস্না আঢ্য এবার তার পুজো মন্ডপ নিয়ে টেক্কা দিয়েছে অন্যান্য পুজো কমিটিকে৷ এদিন তিনি আরও বলেন “মায়ের বিসর্জন হয়না,মাকে আমরা মনে রাখি”। মতিগঞ্জ টোটো ইউনিয়ন এর সদস্য এবং ১৫ পল্লী যুবগোষ্ঠীর সদস্যরা এদিন পুজোর কর্ণধার জ্যোৎস্না আঢ্যকে মধ্যমণী করে বনগাঁর কাঁচাগোল্লা আর চন্দ্রচুঁড় দই উপহার হিসাবে খাদ্য মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লীক এর হাতে তুলে দিয়ে বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময় করেন৷-দেশেরসময়: