বিশ্বজিৎ কুণ্ডু , বনগাঁ: বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হলেন বিজেপির এক কার্যকর্তা। গোবিন্দ বিশ্বাস নামে জখম ওই নেতাকে বনগাঁ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিজেপি সূত্রে জানা গেছে, গোবিন্দ বাবু এদিন দলের একটি মিটিং সেরে রাত ৯টা নাগাদ মোটরবাইকে করে নিজের চাঁদার বাড়িতে ফিরছিলেন। চাঁদা বাজারের কাছে কয়েকজন তাঁর পথ আটকে দাঁড়ায়। এরপর তাঁকে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। স্থানীয়রা ছুটে এসে তাঁকে বনগাঁ হাসপাতালে নিয়ে যান। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল এই হামলা চালিয়েছে। এই ঘটনার পর প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন বিজেপি-র বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা অবজার্ভার প্রসেনজিৎ ভৌমিক, বনগাঁ পৌরমন্ডল উত্তর-এর সভাপতি শোভন বৈদ্য সহ এলাকার বিজেপি কর্মীরা৷
বনগাঁর বিজেপি নেতা দেবদাস মন্ডল বলেন আজ বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার যুব মোর্চার সহ-সভাপতি গোবিন্দ বিশ্বাস এর উপর তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা নির্মমভাবে হামলা চালায়, তিনি এখন বনগাঁ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তৃণমূলের এই ঘটনার তীব্র ধিক্কার জানাই , ভোটে হারবে বুঝেই এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করে সাধারণ মানুষের মনে ভয় ধরানোর চেষ্টা করছে।২রা মে ফল পাবে ব্যালোট বাক্সে ৷
ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সহসভাপতি গোবিন্দ বিশ্বাসকে মারধরের অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বিজেপির অভিযোগ বুধবার রাতে গাড়াপোতা গ্রাম পঞ্চায়েতের এলাকার কমলাপুর থেকে মিটিং সেরে ফেরার পথে গোবিন্দ বিশ্বাসকে লোহার রড দিয়ে মারধর করে ফেলে রেখে যায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে বনগাঁ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মী সমর্থকরা পালটা বনগাঁ থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। এই ঘটনাকে ঘিরে যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।
আহত গোবিন্দ বিশ্বাস জানান, “আমি প্রথমে যুব সভাপতি সমীর বিশ্বাসের বাড়ি যাই। সেখানে বিজেপির ব্রিগেড সমাবেশে যাওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। আলোচনা সেরে বাড়ি ফেরার পথে গাড়াপোতা এলাকায় পিছন দিক থেকে দুটো মোটরসাইকেল এসে আমার মাথায় আঘাত করে চলে যায়। আমার মাথার হেলমেটটা ভেঙে যায় ও মাথার পিছন দিকটা ফুলে গেছে। কারা মেরেছে তা আমি বলতে পারব না”
অন্যদিকে বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বনস্পতি দেব জানান, “গোবিন্দ বিশ্বাস দলের কাজকর্ম সেরে বাড়িতে ফিরছিলেন। হেলমেট পরা অবস্থায় তাঁর মাথায় আঘাত করা হয়। তাঁর মাথায় আঘাত লাগে। ওঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন।” বনস্পতিবাবুর অভিযোগ, “তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। কারণ আজকে দুষ্কৃতী মানেই তৃণমূল আশ্রিত।”
অন্যদিকে বিজেপির অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার আহ্বায়ক গোপাল শেঠ বলেন “এই বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। যেই করুক পুলিশ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। তবে রাজনৈতিক কোনো গন্ডগোল হয়েছে বলে আমার জানা নেই।” এক্ষেত্রে তৃণমূলের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠছে সেই বিষয়ে গোপাল বলেন, “তৃণমূলে কোন দুষ্কৃতী নেই। বিজেপি নিজেদের মধ্যে মারামারি করছে, আর তৃণমূলের উপর দোষ চাপাচ্ছে।”