পিয়ালী মুখার্জী,দেশের সময়:
বনগাঁবাসীরা অবশেষে স্বস্তির স্বাস নিলেন। গত বুধবার থেকে শুরু হলো ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়ক অর্থাৎ যশোর রোডে দু পাশে থাকা মহীরুহ (রেইনট্রী )গুলির শুকনো ডাল কাটা। দীর্ঘ দিন ধরেই স্থানীয় বাসিন্দা এবং ওই সড়কে চলাচল করা যান বাহন চালক ও পথচারীদের অভিযোগ ছিলো বিপজ্জনক ভাবে ঝুলতে থাকা শুকনো ডাল গুলি নিয়ে। দেখুন ভিডিও:
জাতীয় সড়ক দপ্তরের প্রতিনিধি ও বনগাঁ পৌরসভার পুরো প্রশাসক গোপাল শেঠ এর উপস্থিতিতে শুরু হয় এই বিপজ্জনক ডাল গুলি সরিয়ে ফেলার উদ্যোগ। স্বভাবতই জনতা খুশি।কিছু দিন আগেই এই রাস্তার ধারে থাকা শতাব্দী প্রাচীন গাছের শুকনো ডাল ভেঙ্গে পরে মৃত্যু হয়েছিল এক ট্রাক চালকের।
তার পরেই দাবি ওঠে ওই মরা শুকনো ডাল চিহ্নিত করে যাতে সেগুলো কেটে দেওয়া হয়। এই রকম দুর্ঘটনা আগেও ঘটেছে। জীবন হানি ও গুরুতর জখম হয়েছেন অনেক মানুষ। ওই সড়কে চলাচলকারী দের বক্তব্য “আমরা এই রাস্তায় প্রাণ হাতে যাতায়াত করি, ঝড় বৃষ্টি হলে এই শুকনো ডাল গুলি হঠাৎ করেই ভেঙ্গে পরে জীবনহানির আশঙ্কা থাকে। আমরা তাই দাবি জানিয়েছিলাম বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের কাছে।”
এই দাবিতে হয়েছিল পথ অবরোধও। কিছু দিন আগে যশোর রোড সম্প্রসারণের কাজ শুরু হলে, এই ডাল সনাক্তকরণ করে কাটা শুরু হয়েছিল কিন্তু তা মাঝপথে থমকে যায় পরিবেশ প্রেমী ও মানবাধিকার সংগঠনের প্রবল আপত্তি তে। মামলা দায়ের হয় আদালতে। সেই সরকারী আইনি জট কাটিয়ে আবার সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উদ্যোগে শুরু হলো শুকনো ডাল কাটার কাজ।
এই কাজ চলার সময় ব্যাস্ত সড়কে যাতে কোনো রকম যানজট সৃষ্টি না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।
বনগাঁ পৌরসভার প্রশাসক গোপাল শেঠ বলেন “সাধারণ মানুষ যাতে বিপদের সম্মুখীন না হন তাই আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। যশোর রোডের বারাসাত থেকে পেট্রাপোল পর্যন্ত প্রায় ৬০ কিলোমিটার রাস্তা ধরে এই গাছ রয়েছে, আপাতত পেট্রাপোল সীমান্ত থেকে গাইঘাটা পর্যন্ত গাছের শুকনো ডাল কাটার কাজ চলবে। মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর বনগাঁ শাখার সম্পদক অজয় মজুমদার বলেন, “শুকনো মরা ডাল কাটতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে সতর্ক থাকতে হবে যাতে কোনো সজীব ডাল যেন কাটা না পড়ে।” স্থানীয় মানুষ এই উদ্যোগ কে স্বাগত জানিয়ে সব রকমের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।