দেশের সময় বনগাঁঃ ২৯ জুলাই নজরুল মঞ্চে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির সূত্রপাত করেছিলেনরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোর ও তাঁর সংস্থা আইপ্যাক-এর তত্ববাধানেই এই কর্মসূচি চালু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। একইসঙ্গে চালু করা হয়েছিল গ্রামীণ এলাকায় সাধারণ মানুষের বাড়িতে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের রাত্রি যাপনের কর্মসূচি। এই কর্মসূচিগুলির মূল লক্ষ্যই ছিল জনসংযোগ বৃদ্ধি করা। লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে বিজেপি ১৮টি আসনে জয় পাওয়ার পর আর সময় নষ্ট না করে প্রশান্ত কিশোর ও তাঁর সংস্থার সঙ্গে চুক্তি বদ্ধ হয় তৃণমূল। তড়িঘড়ি কাজও শুরু করে দেয় আইপ্যাকও।
জানা গিয়েছে, গত আট মাসে ‘দিদিকে বলো’তে যোগাযোগ করেছেন মোট লক্ষ লক্ষ মানুষ। রাজ্যবাসী নানা কারণে যোগাযোগ করেছে। তবে মূলত বিভিন্ন ধরনের সমস্যার কথাই জানিয়েছেন বেশির ভাগ মানুষ। ‘দিদিকে বলো’তে মতামত দিয়েছেন অনেকেই ৷গ্রামীণ জনসংযোগ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক ও নেতারা। তাঁরা গ্রাম শহরে জনসংযোগ কর্মসূচি পরিচালনা করেচলেছেন সেখানে সভা করছেন, গ্রামের সম্মানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করেছেন, স্থানীয়দের অভিযোগ শুনেছেন এবং পরামর্শ গ্রহণ করেছেন।এটিকে ‘অভূতপূর্ব সাড়া’ বলে মনে করছে আইপ্যাক।
সীমান্ত শহর বনগাঁ পুরসভার ২২টি ওয়ার্ডেই ”দিদিকে বলো” কর্মসূচি জোর কদমে চলছে বলে জানালেন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্য,তিনি আজ ২২নং ওয়ার্ডের সমস্ত মানুষের সাথে কথা বলে জানান সাধারন মানুষ অতি সহজে তাঁদের সমস্যা অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সমাধান করার জন্য এই কর্মসূচিতে যোগদান করছেন এবং আমরা নেত্রীর নির্দেশ মেনে তাঁদের কথা শুনিছ ,পাশাপাশি সেই সমস্ত মানুষের সমস্যা সমাধানের জন্য ঝাপিয়ে পড়ছি তৃণমূল কর্মিদেরকে নিয়ে৷ সাধারন মানুষ তাঁদের মনের কথা খুলে বলছেন আর আমরাও তাঁদের মনের কাছে পৌঁছে যাচ্ছি এই কর্মসূচির মাধ্যমে৷ এক কথায় “দিদিকে বলো ” কর্মসূচিই বনগাঁর মানুষের কাছে আরও এক ধাপ এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছে আমাদেরকে৷
I am humbled with the overwhelming response of the people on the @DidiKeBolo platform. In the last 30 days, over 10 Lakh people have reached out to us with their words of appreciation for the initiative, valuable suggestions & grievances.(1/2) pic.twitter.com/JwP8W3nEhg
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) August 29, 2019
স্থানীয় এক বিজেপি নেতার কথায় এ সবই লোক দেখানো, সামনেই পুরভোট আসছে তাই তৃণমূল আগে থেকেই ঘর গোছানোর চেষ্টায় এ সব করছে৷
বনগাঁর প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠ বলেন শুধু পুরভোট নয় দেশের মানচিএ থেকেই বিজেপি মুছে যাবে,কারণ পুরো দেশটাই সাধারণ মানুষের গোছানো ঘর,সেই ঘরটাই লন্ডভন্ড করেদিয়েছে ওই দলটা। লোক সেটাই দেখছে তার উত্তর ব্যালটে দেবে মানুষ৷