পার্থ সারথি নন্দী, বনগাঁ: বছরের শেষে ছুটির মেজাজে আট থেকে আশি। বড়দিনের সকালে ছুটির আনন্দে বনগাঁ মণীষাঙ্গন থেকে বনগাঁ চারুকলা পর্ষদের উৎসব সূচনার পদযাত্রায় যশোর রোডে নামল মানুষের ঢল। বনগাঁ শহরের বিভিন্ন হলিডে ডেস্টিনেশনে এখন উৎসবের মেজাজ।পারমাদন অভয়ারণ্যে হরিণের পদচারণা দেখতে তাই সেখানেও উপচে পড়েছে ভিড়। বড়দিনের ছুটি প্রাণভরে উপভোগ করতে পেরে সবথেকে খুশি অবশ্যই কচিকাঁচারা। বনগাঁ জুড়ে সকাল থেকেই এদিন ছিল পিকনিকের মেজাজ, পরিবার নিয়ে খাওয়া দাওয়া। এবার শীতে পারমাদনে এসেছে নতুন অতিথি পাখী। তাদের চালচলন, হাবভাব দেখতে ভিড় জমাচ্ছে কচিকাঁচারা।বনগাঁ মহকুমার বিভিন্ন পার্কের পরিস্থিতিও একইরকম। সেখানেও সকাল থেকেই মানুষ ভিড় জমাতে শুরু করেছেন। সকলকেই বিভিন্ন রাইডের মজা নিতে দেখা যাচ্ছে।
এদিকে ছুটির দিনে শীতের আমেজ যথারীতি অব্যাহত। এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৯। স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি কম। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী বছরের শেষে আরও কমবে তাপমাত্রা। ২৯ ডিসেম্বর থেকেই জাঁকিয়ে শীত পড়বে। এখনই বিভিন্ন জেলার তাপমাত্রা দশ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। পুরুলিয়ার তাপমাত্রা দশ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গিয়েছে। আগামী কয়েকদিনে জেলার তাপমাত্রাও আরও অনেক নামতে পারে।
পুলিস সূত্রে খবর, মঙ্গলবার বিকেল চারটের পর গাড়ি চলাচলের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হবে সেন্ট জোশেফ গীর্জা থেকে বি,এস,এফ,ক্যাম্প মোড় পর্যন্ত এই নিয়ম বলবৎ থাকবে। চাকদা রোডের রবীন্দ্র মূর্তি থেকে মতিগঞ্জ,বাটা মোড় এলাকা গুলির রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে বিবিশেষ ব্যাবস্থা নিয়েছে প্রশাসন৷
বনগাঁ বাটামোড় থেকে গীর্জা পর্যন্ত যশোর রোডের দু’ধারে সাজানো হয়েছে আলোয়। ভিড় সামলাতে বনগাঁ পুরসভার কর্মী এবং পুলিশ প্রশাসন এক যোগে রাস্তায় টহল দিচ্ছে৷ গীর্জায় সকাল থেকে ভিড় করছেন হাজার হাজার মানুষ।বনগাঁ ছয়ঘরিয়া পঞ্চায়েতের উদ্যোগে এবার প্রথম গীর্জার পাশে রাখাল দাস স্কুল মাঠে বসেছে মেলা৷ সেখানে চলছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান৷ সব মিলিয়ে শহর বনগাঁ এখন অন্য শহর কে টেক্কা দিয়ে বড়দিনের উৎসবে জাতীয় শহরের মাইলস্টোন৷