দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ গ্রীষ্মের দহন কমাতে আসছে স্বস্তির বৃষ্টি। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার শহরে বজ্র-বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে খানিক স্বস্তি মিললেও, তাপমাত্রার খুব একটা হেরফের হওয়ার সম্ভাবনা নেই। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, এদিন শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকার কথা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উল্লেখ্য, শনিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের তুলনায় ২ ডিগ্রি বেশি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। গতকাল বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ যথাক্রমে ৮৯ এবং ২৪ শতাংশ ছিল।
এই সপ্তাহে শহরের তাপমাত্রা ৩৬-৩৭ ডিগ্রির কাছাকাছি ঘুরপাক খাবে। এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। সপ্তাহের শেষে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছুঁতে পারে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের তুলনায় ৩ ডিগ্রি বেশি। তবে আগামী দু-তিনদিন মেঘাচ্ছন্ন থাকবে শহরের আকাশ। আইএমডি ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী সোমবারও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে শহরে। ফলে ক্ষনিকের জন্য হলেও স্বস্তি মিলবে। সপ্তাহের মাঝামাঝি সময় থেকেই মেঘ সরে দেখা দেবে রৌদ্রজ্জ্বল আকাশ। যার ফলে গরম আরও খানিকটা বাড়ার সম্ভাবনা থাকছে।
এদিন রাজ্যের কোথায় কেমন থাকবে আবহাওয়া? একনজরে দেখে নেওয়া যাক। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আসানসোলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছুঁতে পারে ৩৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বালুরঘাটের তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি, বাঁকুড়ায় পারদ ছুঁয়েছে ৩৮.৭ ডিগ্রি, ব্যারাকপুরের তাপমাত্রা ৩৬.৬ ডিগ্রি, বহরমপুরের পারদ চড়েছে ৩৬.৮ ডিগ্রিতে, বর্ধমানের তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৩৭.৮ ডিগ্রি, ক্যানিংয়ের তাপমাত্রা ৩৫.৬ ডিগ্রি, কোচবিহারে তাপমাত্রা ৩৩.১ ডিগ্রি, দার্জিলিঙের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি, ডায়মন্ডহারবারে পারদ ছুঁয়েছে ৩৬.৮ ডিগ্রি, দিঘায় তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৩৪.৭ ডিগ্রি, দমদমের তাপমাত্রা ৩৭.১ ডিগ্রি, হলদিয়ার তাপমাত্রা ৩৫.৯ ডিগ্রি, জলপাইগুড়িতে পারদ ছুঁয়েছে ৩৪.৬ ডিগ্রি, কালিম্পঙে ২৫.৫ ডিগ্রি, কৃষ্ণনগরের ৩৯.২ ডিগ্রি, মালদায় ৩৮ ডিগ্রি, মেদিনীপুরের তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৩৭ ডিগ্রি, পানাগড়ে ৩৮.৭ ডিগ্রি, সল্টলেকে ৩৫.৬ ডিগ্রি, শিলিগুড়ির তাপমাত্রা ৩৪.৬ ডিগ্রি, শ্রীনিকেতনে ৩৭.৪ ডিগ্রি।
এদিকে রাজ্য তথা দেশজুড়ে গরমের দাপট অব্যহত। বাঁকুড়ার দু-একটি জায়গায় তাপপ্রবাহ বইতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। অন্ধ্র প্রদেশ, তেলেঙ্গানা এবং তামিলনাড়ুতে তাপপ্রবাহ বইতে শুরু করেছে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকেই। তবে দেশের উত্তরপূর্ব অংশে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা অক্ষুন্ন রয়েছে। আন্দামান নিকোবরেও হালকা বৃষ্টিপাত হয়েছে। আবহাওয়াবিদদের দাবি, এর জেরে গ্রীষ্মের প্রথম নিম্নচাপ দুর্বল হয়ে গিয়েছে। হালকা বৃষ্টিপাতের সাক্ষী থেকেছে সিকিমের উত্তরভাগও। আজ অরুণাচল প্রদেশের তুষারপাতের সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে।