দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বাংলার বর্তমান রাজনীতিতে অনুব্রত মণ্ডল যেমন একটা বর্ণময় চরিত্র মদন মিত্র তেমনই। বরং বলা যেতে পারে, অনুব্রতর তুলনায় অনেক উঁচু দরের।
শনিবার রাত পৌনে দশটা নাগাদ সেই মদন মিত্র তথা রাজ্যে তৃণমূল সরকারের প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্র হঠাৎ একটি ফেসবুক পোস্ট করেন। তাতে দেখা যাচ্ছে, একটা গেরুয়া ঘেঁষা রঙের কাট স্লিভ জ্যাকেট পরে রয়েছেন তিনি। হাতে চায়ের কাপ নিয়ে চুমুক দিচ্ছেন। চোখে কালো চশমা। আর সেই ফেসবুক পোস্টের ক্যাপশনে লিখেছেন ‘টাইম ফর প্যাক আপ!’
প্যাক আপ মানে কি পাত্তারি গোটানোর কথা বলছেন তৃণমূল নেতা মদন মিত্র। তা হলে কীসের থেকে প্যাক আপ? স্বাভাবিক ভাবেই এ সব প্রশ্নে তাল গোল পাকাতে শুরু করে।
এ সব প্রশ্নের উত্তর সন্ধানে মদন মিত্রকে ফোন করা হয়েছিল। বরাবরই তাঁর ভারী গলা। তেমনই গলায় তিনি জবাব দেন, “রাত ১১ টা বেজে গেছে। ফেসবুক পোস্টে কী লিখেছি, তা নিয়ে এতো রাতে জবাব দিতে পারব না। মেসেজ করুন। ইচ্ছা হলে জবাব দেব।”
মদন মিত্রর রাজনৈতিক হাতেখড়ি হয়েছে কংগ্রেসে। পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস ভেঙে তৃণমূল কংগ্রেস গঠন করলে প্রথম দিন থেকেই তার সৈনিক তিনি। তবে তৃণমূল ছাড়াও মদন মিত্রর অন্য পরিচয়ও রয়েছে। কলকাতায় ট্যাক্সি ইউনিয়নের অবিসংবাদী নেতা ছিলেন তিনি। শুধু তা নয়, বিপদে আপদে হাসপাতালে ভর্তি করা, লোকের পাশে দাঁড়ানো এ ব্যাপারেও মদন মিত্রর নাম ডাক রয়েছে।
পরে অবশ্য চিট ফান্ড কাণ্ডে গ্রেফতার হন মদন। প্রায় সাড়ে তিন বছর জেলে ছিলেন তিনি। জেল থেকে বেরিয়ে অবশ্য রাজনীতিতে আর তেমন কোনও প্রাসঙ্গিকতা ফিরে পাননি ভবানীপুর চত্বরের এই নেতা। অনেকে বলেন, তৃণমূলে ব্রাত্য হয়ে গিয়েছেন মদন মিত্র।
ফলে এদিন তাঁর ফেসবুক পোস্ট দেখেই কৌতুহল তৈরি হয়েছে বহু লোকের মধ্যে। বাংলায় ভোট আসছে। দল বদলের মরশুম চলছে। তেমন কিছু নাতো!
শুক্রবার মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন পরিবহণ দফতরে মদনের উত্তরসূরীল শুভেন্দু অধিকারী। তা নিয়ে আন্দোলিত তৃণমূল। প্রবীর ঘোষালের মতো বিধায়করা বলছেন, এতে বড় ক্ষতি হয়ে যাবে তৃণমূলের। ফলে কেউ কেউ ভ্রু কুঁচকে বলছেন, নিজের দলকেই এ কথা বলছেন কি মদন মিত্র।
দেখা যাক, এ ব্যাপারে মদন নিজে কোনও ব্যাখ্যা দেন কিনা!