প্রজাতন্ত্র দিবসে রাজ্যবাসীকে টুইটে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী,এর বেশি কিছু জানেনা রুদ্রনীল

0
966

দেবন্বিতা চক্রবর্তী, দেশের সময়: ২৬ শে জানুয়ারি, ৬৯ বছর অতিবাহিত হল এই বিশেষ দিনটির ৷ যেকোনো দেশের সামাজিক ও প্রশাসনিক দিকের মূল স্তম্ভ যুব সমাজ , আমাদের দেশ ও তার ব্যতিক্রম নয় , কিন্তু আমাদের যুব সমাজ যারা সারাদিন ঘরের কোনায় বসে মন দিয়ে ফেসবুক হোয়াট্সআ্যাপ, ইন্স্টাগ্রামে দীর্ঘ সময় অতিক্রম করে, তারা কি বলছে এই দিনটি সম্পর্কে ,তারই খোঁজ খবর নিয়েছে দেশের সময় এর প্রতিনিধি~ বনগাঁর
রুদ্রনীল মুখার্জী ক্লাস সেভেনে পরে সে শুধু জানে যে এই দিনের নাম প্রজাতন্ত্র দিবস , স্কুলে এদিন বিশেষ ভাবে পালন করা হয় কিন্তু কেন পালিত হয় প্রশ্ন করাতেই গুগলে টাইপ করতে শুরু করে গড়গড় করে বলে দিল , আজ প্রজাতন্ত্র দিবসে রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি টুইট করে জানান, প্রজাতন্ত্র দিবসে সংবিধানকে রক্ষা করার শপথ নিতে হবে। একই সঙ্গে নিরপেক্ষরা, গণতন্ত্র মেনে চলার বার্তা দিয়েছেন তিনি,এর বেশি কিছু জানেনা সে।আবার এক শিক্ষিকা মানসী মজুমদার তিনি সঠিক জবাব দিলেন বটে কিন্তু অনেকটা সময় ভাবতে হল তাকে , পি,ডব্লু, তে কর্মরত রূপম বাবু শুধু জানেন যে প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হয় , আবার ২৯ বছর বয়সি সুদীপ্ত বাবুর ও একই রকম হাল ৷

প্রজাতন্দ্র দিবস মানেই আমরা যা দেখি ,তা হল সকাল ৭ টায় জানুয়ারী মাসের ঠান্ডায় দিল্লির লালকেল্লা থেকে সরাসরি টিভির সামনে বসে প্যারেড দেখা পুরো পরিবারের সাথে , আর স্কুলে গেলেই হাতে দুটো করে চকোলেট আর একটা করে বিস্কুট , দুপুরে টিভিতে পেট্রিয়টিক সিনেমা আর কিছু না হলেও অনলাইন শপিং এ রিপাব্লিক ডে সেলটা তো আছেই
১৯৫০ সালের ২৬ শে জানুয়ারি আমাদের সংবিধান লাগু
হয়েছিল ৷

সংবিধান আমাদের অশোক চক্রের ঠিক ৪ নং সিংহের মতো , সবাই আমরা জানি আছে ঠিক পিছনেই আছে কিন্তু দেখা যায় না | ১৯৫০ সালে সংবিধান হওয়ার পরেই দেশে সবাই খুশি হলেও অর্ধেক মানুষের বোধগম্য হল না যে বিষয় টা কি , পরবর্তীতে এই সংবিধান আমাদের কোন কাজে আসবে? তা কি ডিক্টেটর হবে না কমিউনাল হিসাবে গন্য হবে? পূর্ব ব্রিটিশপ্রধান চার্চিল তো বললেন , সাপুড়ের দেশে সংবিধান ও আগে গিয়ে সাপুড়ে ই হবে ৷ কিন্তু আমাদের দেশ নেতারা বললেন আমাদের সংবিধান ডেমোক্রাটিক হবে , এখন কতটা ডেমোক্রাটিক হয়েছে সেটাতো দেশই বলবে ।

আমাদের সংবিধান রচনা করেছিলেন ডক্টর ভিম রাও আম্বেদরক , তবে পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু কখনওই চাইতেন না যে তিনি ক্যাবিনেটের সদস্য হয়ে যোগদান করেন , কিন্তু এখানে বাধ সাধলেন জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী ৷ তিনি বললেন আম্বেদকর এই কাজের উপযুক্ত ও তিনি হলেন ক্যাবিনেটের আইনমন্ত্রী । এটা সেই সময়ের কথা বলা হচ্ছে যেখানে মার্গদর্শক মন্ডলীর কথা আমাদের দেশের নেতারা শুনতেন , ডিফারেন্স ওপিনিয়ন কেও মর্যাদা দেওয়া হতো ৷

ডক্টর আম্বেদকরের সংবিধান বানাতে সময় লেগেছিল প্রায় ২ বছর ১১ মাস ১৮ দিন , আমাদের মনে হতে পারে অনেকটা সময় কারণ তখন তো এখনকার গেজেট গুলো যেমন কম্পিউটার , প্রিন্টার কিছুই ছিল না , কিন্তু পরবর্তীকালে জি.এস.টি বিল যা এখনও কর্মরত ,ও অতি প্রয়োজনীয় লোকপাল বিল তৈরী করতে লাগল যথাক্রমে প্রায় ১৬ বছর ও ৪৫ বছর , আইফোনের যুগে এত সময়টা নেহাত ই কম যদিও ।

আমাদের সংবিধান তৈরী হয়েছিল কিছু কিছু দেশের সংবিধানের চিন্তাভাবনা থেকে প্রভাবিত হয়ে ৷যেমন পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা পাওয়া যায় সোভিয়েত উইনিয়ন থেকে , মৌলিক অধিকার পাওয়া গেল আইল্যান্ড থেকে , ফ্রেঞ্চ রেভোলিউশন থেকে পাওয়া গেল সাম্য ,মৈত্রী ,ঐক্যের মতো কিছু অতি প্রয়োজনীয় শব্দ আমাদের দেশ গঠনের জন্য , দেশের মানুষের অভিমত প্রদান পাওয়া গেল আমেরিকা থেকে ,অনেকটা দেবতাদের মা দূর্গার অস্ত্র প্রদানের মতো ৷
সংবিধানের যে ৬ টি প্রধান অধিকার গুলো যে বানানো হয়েছে তা অবশ্যই আমাদের জন্য ঠিকই কিন্তু তার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের ও দায়িত্ব সেই অধিকারের অপব্যবহার করে স্বৈরাচারী না হওয়া ৷
প্রথমটি হল, freedom of speech …বক্তব্যের স্বাধীনতা , কার মানে এই নয় যার যা খুশি সে তাই বলবে ,
দ্বিতীয়টি right against exploitation…. প্রধানত সরকারের যে কোনো শোষনের বিরূদ্ধে অভিযোগ ,
তৃতীয়টি right to freedom of religion…ধর্মের অধিকার, চতুর্থত culture and education right ….তবে এক্ষেত্রে এরকম কালচরের কথা কখনও ই বলা হয় না যেখানে মহিলাদের পোশাক নিয়ে আলোচনা হতে পারে ৷
পঞ্চমত right to equality….অর্থাৎ দেশের সব নাগরিক সমান বর্তমানের কিছু ঘটনা যেন অন্য কিছুই ইঙ্গিত করছে কখনও ৷
আর অন্তিমে right to constitutional remedies…..অর্থাৎ আপনার উপরিউক্ত ফান্ডামেন্টাল রাইটস্ গুলো লঙ্ঘিত মনে হলে আপনি সরকারের বিরুদ্ধাচারন করতে পারেন ৷
সাধারনত বলতে গেলে সংবিধান আমাদের পৌত্রিক সম্পত্তি যেখান থেকে আমাদের উৎখাত করা কখনও সম্ভব নয় ,আর সংবিধান আমাদের ধারক ও বাহক হিসাবে কাজ করেছে ও ভবিষ্যতে ও করবে ৷
সবশেষে আমাদের দেশের এই বিশেষ দিনটিতে আমরা একত্রিত হয়ে এই আশা রাখব যেন সংবিধানের প্রতি আমাদের আনুগত্য চিরকাল জীবিত থাকে ও পরবর্তীদের জন্য বলে যেতে পারি ……..
নয়ন সেজ পর সোতা স্বপ্ন
ভূজা ভূজা ল্যাহরায়ে
মন হে চন্দন মাটি মধূবন
মন গনতন্ত্র হো যায়ে

শুভ প্রজাতন্ত্র দিবস। দেশের ৭০তম গণতন্ত্র দিবস আজ শনিবার। গত ৭০ বছরের প্রথা মেনে সমস্ত জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে পালিত হয়ে আসছে গণতন্ত্র দিবস। এবার ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান ৭০ বছর পূর্ণ করছে। তাই বেশ কয়েকটি বিশেষ অনুষ্ঠান হচ্ছে এবার।

ইতিমধ্যে প্রজাতন্ত্র দিবসে রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি টুইট করে জানান, প্রজাতন্ত্র দিবসে সংবিধানকে রক্ষা করার শপথ নিতে হবে। একই সঙ্গে নিরপেক্ষরা, গণতন্ত্র মেনে চলার বার্তা দিয়েছেন তিনি।রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীও। তিনি বলেন, দেশের গণতন্ত্র যাতে একদম ঠিকঠাক থাকে, আইনি ও সম্মানজনক পথ মেনে চলে, তা দেখার দায়িত্ব দেশের জনগণেরই। রাজভবন থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের দেশের গণতন্ত্র যাঁরা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তাঁদের কথা স্মরণ করে আমাদের নিজেদের লক্ষ্যে অবিচল থেকে সমস্ত প্রচেষ্টা দিয়ে এটিকে রক্ষা করতে হবে। দেশের সার্বভৌমত্ব যাতে রক্ষা পায়, তা দেখার আবেদনও দেশবাসীর কাছে রাখেন রাজ্যপাল।

কোনওভাবেই যাতে দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষতিগ্রস্থ না হয়, তা দেখার দিকে লক্ষ রাখতে হবে দেশের দায়িত্ববান নাগরিকদের। দেশের সার্বভৌমত্ব যাতে রক্ষা পায়, তা দেখার আবেদনও দেশবাসীর কাছে রাখেন রাজ্যপাল। কোনওভাবেই যাতে দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষতিগ্রস্থ না হয়, তা দেখার দিকে লক্ষ রাখতে হবে দেশের দায়িত্ববান নাগরিকদের। শুধু দেশবাসীকেই নয়। পশ্চিমবঙ্গবাসীর উদ্দেশেও বক্তব্য পেশ করেন তিনি। রাজ্যবাসীর আনন্দ এবং সুখকর জীবনের জন্য প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে কামনা করেন তিনি।


ভারতের ৭০তম প্রজাতন্ত্র দিবসে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে দিল্লিকে। লোকসভা নির্বাচনের আগে এটাই শেষ প্রজাতন্ত্র দিবস। এই অনুষ্ঠানের মূল অতিথি দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতি। এবারের প্যারেড চলবে মোট ৯০ মিনিট ধরে। ভারতের কৃষ্টি এবং সংস্কৃতি উঠে আসবে রাজধানীর রাজপথে। তাছাড়া অনুষ্ঠান ঘিরে গোটা দিল্লিতে থাকছে কড়া নিরাপত্তা। মোতায়েন থাকছেন প্রায় ২৫ হাজার পুলিস কর্মী। বৃহস্পতিবার জাতীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তাতে তিনি বলেন, বহুত্ববাদই ভারতের বৈশিষ্ট্য। পাশাপাশি উচ্চবর্ণের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের প্রশংসাও করেন তিনি।

এবারই প্রথম ভারতে এসেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতি। তাঁর সঙ্গে স্ত্রী ছাড়াও আছেন সে দেশের ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধিদল। এবারের প্রজাতন্ত্র দিবসের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ নারী শক্তি। অসম রাইফেলসের মহিলারা এই কুচকাওয়াজে নেতৃত্ব দেবেন। তাছাড়া আর এক মহিলা অফিসার রাজপথে বাইক নিয়ে নানারকমের কসরত করবেন। এবারের প্যারেডে অংশ নিচ্ছেন আইএনএ’‌র চারজন প্রবীণ সৈনিক। মেজর জেনারেল রাজপাল পুনিয়া জানান এঁদের প্রত্যেকের বয়স ৯০ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে।
এবার গান্ধিজির জন্মের সার্ধশতবর্ষ পূরণ হচ্ছে। তাঁর সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিশেষ সম্পর্ক ছিল। সেটা মাথায় রেখেই এবারের অনুষ্ঠানে দক্ষিণ আফ্রিকাকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তিন বছর বাদে আবার রেলের ট্যাবলো আছে প্যারেডে। তাছাড়া রেলের ট্যাবলোতে আছে ভারতের দ্রুততম ট্রেন ট্রেন ১৮ প্রসঙ্গ। পাঞ্জাবের ট্যাবলোর থিম জালিয়ানওয়ালাবাগের ঘটনা। ঠিক ১০০ বছর আগে ওই গণহত্যার ঘটনাটি ঘটেছিল। অনুষ্ঠানের আগে বৃহস্পতিবার দিল্লিতে ধরা পড়েছে দুই সন্দেহভাজন জঙ্গি। পুলিসের দাবি তারা নাশকতার ছক করেছিল। রাজপথে থাকছে ৪০০টি মেটাল ডিরেক্টর।

ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা সামরিক ক্ষেত্রে ও সমুদ্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গুরুত্ব পেতে যাচ্ছে তথ্য প্রযুক্তি ও বাণিজ্যও। আজ শুক্রবার ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার নেতারা এই বিষয়ে এক যৌথ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

শনিবার প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে ভারত সফরে এসেছেন সিরিল রামাফোসাকে। এর জন্য অবশ্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আমন্ত্রণ জানাতে চেয়েছিল ভারত। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন সময় বের করতে না পারার কারণ দেখিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছে সেই অনুরোধ।দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার ভারত সফরে যাওয়ার প্রেক্ষিতে ঘোষণা করা হল তিন বছর মেয়াদি কৌশলগত এই সমঝোতার।রামাফোসার সঙ্গে যৌথ ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দুই দেশর মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। যেখানে ২০১৭-১৮ মেয়াদে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল, ৯৩৮ কোটি ডলার সেখানে প্রত্যাশা করা হচ্ছে, ২০১৮-২০১৯ মেয়াদে তা এক হাজার ৬৫ কোটি ডলারে উন্নীত হবে বলে জানানো হয়েছে।দেশ জুড়ে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে পালিত হল ৭০তম প্রজাতন্ত্র দিবস।দেশের সীমান্ত শহর বনগাঁ মহকুমা জুড়ে মহাসমারহে পালিত হল প্রজাতন্ত্র সিবস৷

বনগাঁ অভিযান সংঘের ময়দানে ছবি তুলেছেন-

কৌস্তব পাল: / দেশের সময়:

Previous articleসাঁই সীমান্ত মডেল স্কুলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
Next articleপ্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে নেতাজি বাহিনীর শতায়ু সৈনিক

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here