দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ আর কয়েকমাসের মধ্যেই প্রকাশিত হবে প্যাসেঞ্জার ট্রেনের নতুন ‘জিরো বেসড’ টাইম টেবিল। তাতে বাদ যেতে পারে ৬০০ টি মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন। বাদ দেওয়া হতে পারে ১০ হাজার ২০০ টি হল্ট। রেলমন্ত্রকের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ৩৬০ টি প্যাসেঞ্জার ট্রেনকে মেল ও এক্সপ্রেস হিসাবে আপগ্রেড করা হবে। ১২০ টি মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেনকে আপগ্রেড করা হবে সুপার ফাস্ট ট্রেন হিসাবে।
গত বৃহস্পতিবার রেল বোর্ডের সিইও এবং চেয়ারম্যান ভি কে যাদব বলেন, দেশ জুড়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হলেই নতুন টাইম টেবিল কার্যকরী হবে। গত জুলাই মাসের শুরুতেই আভাস পাওয়া যায়, ট্রেন চলাচলের নতুন বিধি তৈরি হচ্ছে। তাতে প্যাসেঞ্জার ট্রেনের সংখ্যা ও হল্ট কমবে। অতীতে প্যাসেঞ্জার ট্রেন যতক্ষণ অন্তর চলত, পরবর্তীকালে তা আর চলবে না। ভি কে যাদব বলেন, আইআইটি মুম্বইয়ের সহযোগিতায় প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলাচলের নতুন নিয়ম তৈরি করা হচ্ছে। এর ফলে মালবাহী ট্রেন চলার জন্য ‘ডেডিকেটেড করিডোর’ তৈরি করা হবে। রেলের রক্ষণাবেক্ষণের জন্যও নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ থাকবে। ট্রেন চলাচলের নতুন বিধি তৈরি হলে রেলের আর্থিক অবস্থা আগের চেয়ে ভাল হবে বলে আশা করা হচ্ছে। গত কয়েক বছর ধরে প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালাতে গিয়ে বিপুল ক্ষতির মুখে পড়ছে রেল।
মার্চের ২৫ তারিখ থেকে বন্ধ লোকাল ট্রেন পরিষেবা। আনলক পর্বের শুরু থেকে ধাপে ধাপে দূরপাল্লার ট্রেনের সংখ্যা বাড়লেও সাধারণের জন্য লোকাল ট্রেন আপাতত কারশেডেই আটকে। মেট্রো চলাচলও শুরু হয়েছে। যদিও বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, লোকাল ট্রেন চালু হলে তাতে যদি ভিড় নিয়ন্ত্রণ না করা যায় এবং দূরত্ব বিধি বজায় না থাকে, তাহলে সংক্রমণের মাত্রা তীব্র হবে।
সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রবল ভাবে দাবি উঠতে শুরু করেছে, লোকাল ট্রেন চালানো শুরু করা হোক। না হলে বিস্তর দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। রেলকর্মী ও জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্তদের যাতায়াতের জন্য হাতে গোনা নির্দিষ্ট সংখ্যায় লোকাল ট্রেন চালানো হচ্ছে। কিন্তু তাতে সাধারণ যাত্রীদের ওঠা নিষিদ্ধ।
বিশেষ ট্রেনে সাধারণ মানুষ উঠলে আরপিএফ বা জিআরপি তাঁদের নামিয়ে দিচ্ছেন। এ নিয়ে গত ১৫ দিনে সোনারপুর, হুগলি এবং লিলুয়ায় ধুন্ধুমার কাণ্ড বেঁধে গিয়েছিল। লিলুয়া স্টেশনে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় জনতা। সমস্ত দিক বিবেচনা করেই রাজ্যকে চিঠি দিয়েছে রেল।