দেশেরসময় ওয়েবডেস্কঃ পুলওয়ামায় কর্মরত ছিলেন ছেলে। তাই গ্রামের বাড়িতে বসে যখনই পুলওয়ামার ঘটনা কানে এসেছে, কেঁপে উঠেছিল মায়ের বুক। তারপর অনেকবার ছেলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন, পারেননি। আশঙ্কা সত্যি করে আজ সকালে এসে পৌঁছোয় দুঃসংবাদ। জঙ্গিদের গুলিতে শহিদ হওয়া ৪৪ জন জওয়ানের তালিকায় রয়েছে নদিয়ার পলাশিপাড়ার সুদীপ বিশ্বাসের (২৬) নামও।
বরাবরই ভালো ছেলে হিসেবেই পাড়ায় পরিচিতি। তাঁর এমন বিদায়ে গোটা হাঁসপুকুরিয়ার তেলেপাড়া গ্রামে আজ অরন্ধন। বাড়িতে শোকে পাথর বাবা সন্ন্যাসী বিশ্বাস। বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন মা মমতাদেবী
সন্ন্যাসীবাবু ও মমতাদেবীর দুই সন্তান। মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে আগেই। ছেলে প্রতিষ্ঠিত। তাই ছেলের বিয়ের ভাবনাও চলছিল পুরোদমে। চলছিল পাত্রী দেখা। সকালে যখন প্রথম খবর পান বিশ্বাস করতে পারেননি, তাঁদের ফেলে চলে গিয়েছে ২৬ বছরের ছেলে। মাঝেমধ্যেই নিজের মনে কথা বলছিলেন, “গতবার পুজোয় আসতে পারেনি, তাই এ বার পুজোর সময় আসবে বলেছিল। আর তো এল না।”
২০১০ সালে গ্রামের স্কুল থেকেই উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছিলেন সুদীপ। এরপরেই যোগ দেন সিআরপিএফ এর চাকরিতে। কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফ এর ৯৮ নম্বর ব্যাটেলিয়নে কর্মরত ছিলেন সুদীপ। এখন তাঁর দেহ ফিরে আসার অপেক্ষায় সময় গুনছে হাঁসপুকুরিয়ার তেলেপাড়ার শোকাহত অসংখ্য মানুষ।