দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ জেলার আবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয় নাকি?
প্রশাসনিক বা সাংবিধানিক ভাবে তা কখনওই হয় না। কিন্তু রাজনৈতিক টিপ্পনিতে কী না হয়!
বৃহস্পতিবার পুরুলিয়ার আরবিডি স্কুল মাঠে সভা ছিল শুভেন্দু অধিকারীর। সেখানে তিনি বলেন, “পুরুলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ইডি, সিবিআই খুঁজছে!”
কার কথা বলছেন শুভেন্দু?
এমনিতে সব সভাতেই কয়লা পাচার, গরু পাচার, পাথর, বালি নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগছেন নন্দীগ্রাম আন্দোলনের নেতা। বিনয় মিশ্র, এনামুল, অনুপ মাঝি ওরফে লালাদের নাম করেই আক্রমণ শানাচ্ছেন শুভেন্দু। এদিন বিনয় মিশ্রকেই পুরুলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আখ্যা দেন তিনি।
সমাবেশে শুভেন্দু বলেন, “আপনারা বিনয় মিশ্রকে চেনেন তো? পুরুলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিল। সামনে পুলিশের ছটা গাড়ি যেত। কী করতে পুরুলিয়ার আসত সবাই জানে। রঘুনাথপুরের লালার কাছ থেকে টাকা তুলত। তারপর তা চলে যেত হরিশ চ্যাটার্জী রোডের শান্তিনিকেতনে!”
শুভেন্দু আরও বলেন, “এই পুরুলিয়ায় এলে আকাশ হোটেলে উঠত বিনয় মিশ্র। তৃণমূলের বয়স্ক নেতাদের সেখানে গিয়ে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতে হত। কাউকে কাউকে কান ধরে উঠবস করাতো। তাঁকে এখন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।”
এদিনও ‘তোলাবাজ ভাইপো’ বলে আক্রমণ করেন বিজেপি নেতা। তাঁর কথায়, “এখানে তোলাবাজ ভাইপো এলে কত ঘণ্টা রাস্তা বন্ধ থাকে? তিনি কে? ভারতের প্রধানমন্ত্রী না মার্কিন প্রেসিডেন্ট যে তিন ঘণ্টা ধরে রাস্তা বন্ধ থাকবে?” তাঁর কথায়, “আমায় একদিন বিধানসভায় নেপাল মাহাতো (কংগ্রেস বিধায়ক) বলেছিলেন, ভাইপো যতবার পুরুলিয়া যাবে তত দশ হাজার করে তৃণমূলের ভোট কমবে।”
একসময় পুরুলিয়া ছিল বামেদের দুর্গ। জযপুর থেকে আদ্রা, রঘুনাথপুর থেকে বাঘমুন্ডিতে লালঝাণ্ডাই ছিল শেষ কথা। তবে পুরুলিয়ার প্রাক্তন ফরওয়ার্ড ব্লক সাংসদ নরহরি মাহাতো অনেকদিন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এদিন তিনিও শুভেন্দুর মঞ্চে ছিলেন। এদিন শুভেন্দু বলেন, পঞ্চায়েত ভোটে পুরুলিয়া আর ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদ বিজেপি জিতেছিল। জোর করে মাঝরাতে হারানো হয়েছিল।
শুভেন্দুর কথায় নকুল মাহাতোদের (প্রয়াত সিপিএমের প্রাক্তন জেলা সম্পাদক ও প্রবীণ স্বাধীনতা সংগ্রামী) সময়ে এই জিনিস কখনও হয়নি।” লোকসভা ভোটে এমনিই পুরুলিয়ায় হেরেছে তৃণমূল। বিজেপি জিতেছে। অনেকের মতে এদিনের বক্তৃতায় বাম ভোটকে নিজেদের দিকে টানতে চইলেন শুভেন্দু।