পুরীতে রথযাত্রা উপলক্ষ্যে ১১ জুলাই থেকে কারফিউ জারি

0
820

দেশের সময় ওযেবডেস্কঃ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শুধুমাত্র পুরীতেই আয়োজিত হবে রথযাত্রা। আর কোথাও রথযাত্রার অনুমতি দেওয়া হয়নি। আর করোনা আবহে এবারও পুরীতে রথযাত্রা উৎসবে থাকতে পারছেন না কোনও ভক্ত। রথযাত্রা উপলক্ষ্যে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে ওডিশা প্রশাসন। ১১ জুলাই রাত আটটা থেকেই পুরীতে কারফিউ শুরু হয়ে যাচ্ছে। ১৩ জুলাই রাত আটটা পর্যন্ত তা বজায় থাকবে বলে জানা গিয়েছে।

এটা ঘটনা পুরী এবং ওডিশার অন্যান্য জেলায় রথযাত্রার আয়োজন করতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অনেকে। কিন্তু পুরী ছাড়া ওডিশার অন্যান্য অংশে রথযাত্রার অনুমতি দেয়নি নবীন পট্টনায়েক প্রশাসন। এর বিরুদ্ধে আদালতে একগুচ্ছ পিটিশন জমা পড়ে। সেই সমস্ত পিটিশন খারিজ করে দেন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি। জানিয়ে দেন ওডিশা সরকারের সিদ্ধান্তে কোনও হস্তক্ষেপ করবে না আদালত।

গতবারের মতো এবারও কোভিডবিধি মেনেই পালিত হবে জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রার রথযাত্রা। থাকবে না ভক্ত সমাগম। যাঁরা রথের কাছাকাছি উপস্থিত থাকবেন এবং রথের রশি টানার সুযোগ পাবেন প্রত্যেককে নেগেটিভ আরটি–পিসিআর রিপোর্ট দেখাতে হবে। পাশাপাশি টিকার দু’টি ডোজই হয়ে গিয়ে থাকতে হবে।

এলাকার সমস্ত পর্যটককে ১০ তারিখের মধ্যে পুরী ছাড়ার অনুরোধ করা হয়েছে। রথ উপলক্ষ্যে পুরীতে যান চলাচলের উপরও বিধিনিষেধ থাকছে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া দোকান খোলা না রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। ১২ জুলাই রথযাত্রার তিথি। এবার প্রায় ৩ হাজার সেবায়েত অংশ নেবেন অনুষ্ঠানে। সুরক্ষার জন্য ১ হাজার পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। প্রয়োজনে কারফিউর সময়সীমা আরও বাড়ানো হতে পারে। 

রথযাত্রা উপলক্ষ্যে প্রতি বছরই সমুদ্র-শহর পুরী হয়ে ওঠে জনসমুদ্র। চিরাচরিত রীতি মেনে বিশেষ ধরনের কাঠ দিয়ে তৈরি হয় তিনটি রথ- জগন্নাথদেবের রথের নাম নন্দীঘোষ, বলভদ্রের তালধ্বজ এবং সুভদ্রার রথ দর্পদলন৷

রথে চড়ে মাসির বাড়ি যাত্রা করেন জগন্নাথদেব৷ সঙ্গে থাকেন বলরাম, সুভদ্রা৷ রথের রশিতে টান দেন লক্ষ লক্ষ ভক্ত।

কিন্তু করোনা আবহে, গত বছর সব ওলটপালট হয়ে যায়। প্রথমে পুরীর রথযাত্রা স্থগিত রাখার নির্দেশ দিলেও পরে শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

সেই মতো কার্যত ফাঁকা রাস্তায়, ভক্তদের ঢল ছাড়া পুরীতে গড়ায় রথের চাকা। ওড়িশা সরকারের পক্ষ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় পুরী শহর।

বাড়ি থেকে বেরোতে দেওয়া হয়নি কোনও সাধারণ মানুষকে। বছর ঘুরলেও ছবিটা বদলাল না। এবারও ফাঁকা রাস্তাতেই টান পড়বে রথের রশিতে।

Previous article২১ জুলাই থেকে দৈনিক হচ্ছে জাগো বাংলা, টুইট করে জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
Next articleবনগাঁয় গাছ বাঁচিয়ে শুকনো ডাল কাটা চলছে যশোর রোডে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here