দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ দেবীপক্ষ পড়ার আগেই পুজো প্রস্তুতি নিয়ে তৎপরতা শুরু করে দিল নবান্ন। কোভিড পরিস্থিতিতে পুজোর সামগ্রিক পরিকল্পনা নিয়ে কমিটিগুলির সঙ্গে স্থানীয় থানাকে বৈঠক করার ব্যাপারে নির্দেশ পাঠাতে চলেছে রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র সমস্ত পুলিশ সুপার ও পুলিশ কমিশনারদের নির্দেশিকা পাঠাচ্ছেন এই মর্মে যে, স্থানীয় থানাগুলিকে দ্রুততার সঙ্গে পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠক করতে হবে।
জানা গিয়েছে, মোট পাঁচটি নিয়ে পুজো কমিটিগুলির থেকে প্রস্তুতি জানতে চাইবে থানা। তা হল, কী ভাবে সামগ্রিক পুজোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে, নির্দিষ্ট সময় অন্তর মণ্ডপ স্যানিটাইজ করার কী বন্দোবস্ত হবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে কী ভাবনা, কী ভাবে এলাকায় সচেতনতা প্রচার করা হবে এবং অঞ্জলি দেওয়ার সময় কী ব্যবস্থা হবে।
সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, রাজ্য সরকারের গ্লোবাল অ্যাডভাইজারি বোর্ড পরামর্শ দিয়েছে, এবার প্যান্ডেল খোলামেলা রাখতে। তাতে হাওয়া বাতাস খেললে জীবাণুমুক্ত থাকবে মণ্ডপ। মনে করা হচ্ছে, স্থানীয় থানাগুলি সে ব্যাপারেই পুজো কমিটিগুলোকে গাইডলাইন বেঁধে দিতে পারে।
এমনিতে অধিকাংশ পুজো কমিটিই এই সংকটের পরিস্থিতিতে বাজেটে কাটছাঁট করেছে। প্রতিমার উচ্চতা থেকে থিমের জাঁকজমক– সবেতেই সংকোচন করছে বারোয়ারি। প্রসঙ্গত, আড়াই মাস আগেই পুজোর ঢাকে কাঠি ফেলে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছিলেন, “ক্লাবগুলো সচেতনতা তৈরির কাজ করুক। ভাল করে পুজো করতে হবে তো নাকি!”
কলকাতার দুর্গাপুজো কমিটিগুলির একটি যৌথ মঞ্চ আগেই তৈরি হয়েছিল। গত অগস্টেই তারা প্রশাসনের কাছে তাদের প্রস্তাব জমা দিয়েছিল। এবার সমস্ত পরিকল্পনা চূড়ান্ত করার পর্ব। তৎপরতা শুরু হয়ে.গেল নবান্নে।