দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বিয়ারপ্রেমীদের জন্য খুশীরখবর। দুর্গাপুজোর আগেই রাজ্যে দাম কমছে বিয়ারের। স্ট্রং ও লাইট বিয়ারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ক্ষেত্রে বোতলে দাম কমছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। ক্যান বিয়ারের ক্ষেত্রে দাম কমতে পারে ১৫ টাকার মতো। অর্থাৎ লাইট বিয়ারের দাম কমছে ২৫–৪০ শতাংশ। অন্যদিকে স্ট্রং বিয়ারের দাম কমছে ১৫–২০ শতাংশ। বিয়ারের ক্ষেত্রে আবগারি ও অতিরিক্ত আবগারি শুল্ক সংক্রান্ত রাজ্যের অর্থ দপ্তর যে বিজ্ঞপ্তি সেপ্টেম্বর মাসে জারি করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, পুজোর মাস অর্থাৎ অক্টোবরেই রাজ্যে বিয়ারের দাম প্রায় করোনা পূর্বক অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে।
কারণ, রাজ্য সরকার মদ ও বিয়ারের দামের উপর যে ৩০ শতাংশ হারে বিক্রয় কর বসিয়েছিল, তা আপাতত বিয়ারের উপর থেকে তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরিবর্তে বিয়ারে আবগারি শুল্কের সঙ্গে অতিরিক্ত আবগারি শুল্ক বসানো হচ্ছে।
অক্টোবরের শুরু থেকেই দাম কমার কথা থাকলেও, উৎপাদন হওয়ার পর বাজারে নতুন এমআরপি–তে বিয়ার বিক্রির জন্য আসতে আরও দশ–বারো দিন লেগে যেতে পারে। অর্থাৎ আগামী সপ্তাহ থেকেই দোকানে প্রায় করোনা পূর্বক দামে মিলবে বিয়ার।
ইস্টার্ন ইন্ডিয়া হোটেলস ও রেস্তোরাঁ সংস্থার সভাপতি সুদেশ পোদ্দার বলেছেন, ‘করোনা ও লকডাউনের জন্য বিয়ার ব্যবসায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মার্চ থেকে জুলাই বিয়ার খাওয়ার উপযুক্ত সময়। কিন্তু লকডাউনের জেরে ওইসময় বিক্রি ৭০ শতাংশ কমে যায়। এরপর মদের দোকান খোলার পর মদ ও বিয়ারের দামের উপর ৩০ শতাংশ বিক্রয় কর বসানো হয়েছিল। দাম বেড়ে যাওয়ার ফলে বিক্রি কমে গিয়েছিল। আশা করছি, দাম ফের কমায় পুজোয় মুখে লাভের মুখ দেখবেন ব্যবসায়ীরা।
পুজোয় দাম কমায় বিয়ারপ্রেমীদের ভিড় বাড়বে পানশালায়। সবাই পছন্দের বিয়ার খেতে পারবেন। পুজোর মুখে এই উদ্যোগপ্রশংসনীয়।’
নতুন ব্যবস্থা অনুযায়ী প্রত্যেক বিয়ার উৎপাদনকারী সংস্থাকে তাদের বিভিন্ন বিয়ারের উৎপাদন খরচ সরকারকে জানাতে হবে। এক প্রশাসনিক কর্তার কথায়, ‘করোনা পরিস্থিতিতে একদিকে মানুষের আয় কমেছে। সেখানে বিয়ার ও মদের দাম বেড়ে যাওয়ায় স্বাভাবিক নিয়মে বিক্রি কমায় রাজত্ব আদায় প্রত্যাশিতভাবে হয়নি। সেই কারণেই দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
বিয়ারের যে নতুন দাম হচ্ছে, তা করোনা পূর্বক দামের চেয়ে ৫–১০ টাকা বেশি হবে। যেমন বাডওয়াইজার প্রিমিয়াম ও ম্যাগনামের দাম কমে আসতে পারে ১৫৪ ও ১৬৩ টাকায়। বিশেষ করোনা বিয়ারের দাম ৪৫০ থেকে কমে হতে পারে ১৯০ টাকা। কার্লসবার্গ প্রিমিয়াম ও স্ট্রং এর দাম কমে হতে পারে ১৩৬ ও ১৬০ টাকা। কিংফিশার প্রিমিয়াম ও স্ট্রং এর দাম আবার কমে গিয়ে ঠেকতে পারে ১১৯ ও ১৪২ টাকায়। এছাড়া টিউবর্গ, হেওয়ার্ডস এর মতো বিয়ারের দাম কমছে ১৫ থেকে ১৮ শতাংশ। এই বিয়ারগুলির করোনা পূর্বক দাম ছিল ১২৫ টাকা।