দেশের সময় : পাথর ধারণ করলেই মিলবে চাকরি, জ্যোতিষীর এমন প্রতিশ্রুতির কথা শুনে নদীয়া জেলার হরিণঘাটা থানার নগরউখড়া এলাকার এক যুবতী উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানার পাল্লা এলাকায় এক জ্যোতিষীর বাড়িতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে খবর । এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। দেখুন ভিডিও:
পাথর দেওয়ার নাম করে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠলো এক জ্যোতিষীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত জ্যোতিষীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার তাকে আদালতে তোলা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত নাম শম্ভু চক্রবর্তী। বাড়ি গোপালনগর থানার পাল্লা এলাকায়। প্রায় এক বছর আগে নদীয়া জেলার হরিণঘাটা থানার নগরউখড়া এলাকার এক যুবতীর সঙ্গে পরিচয় হয় এই জ্যোতিষী শম্ভুর। সেই সময় সে ওই যুবতীর কাছে নিজেকে জ্যোতিষী বলে পরিচয় দেয়। দীর্ঘদিন ওই যুবতী চাকরির জন্য চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। আর সেই সুযোগকেই কাজে লাগায় শম্ভু।
যুবতীর অভিযোগ, ওই জ্যোতিষী পরিচয়ধারী ওই ব্যক্তি যুবতীকে বলে, জন্মছকে কিছু সমস্যা থাকায় তিনি চাকরি পাচ্ছেন না। তার কাছ থেকে পাথর নিয়ে, তা ধারন করলেই তিনি নিশ্চিত চাকরি পাবেন। পরবর্তীতে পাথর দেওয়ার নাম করে যুবতীকে তার বাড়িতে ডাকে। ওই ব্যক্তির কথার ওপর বিশ্বাস করে যুবতী বৃহস্পতিবার ওই ব্যক্তির বাড়িতে যান।
অভিযোগ, সেখানেই ওই যুবতিকে ঠাণ্ডা পানীয়র সঙ্গে কিছু মিশিয়ে খেতে দেয় শম্ভু নামের ওই জ্যোতিষী । ওই পানীয় খাওয়ার পরেই অচৈতন্য হয়ে পরেন যুবতী। সেই সুযোগে যুবতীকে জোর করে ধর্ষণ করা হয় বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান নির্যাতিতা ওই যুবতী। রাতেই তিনি শম্ভুর বিরুদ্ধে গোপালনগর থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই অভিযুক্ত শম্ভুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শুক্রবার তাকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানাগিয়েছে পাল্লা এলাকায় এই শম্ভু জ্যোতিষী অনেকের সঙ্গেই প্রতারণা করেছে বলে অভিযোগ ৷ বনগাঁ আদালতের সরকারি আইনজীবী সমীর দাস বলেন এই শম্ভু জ্যোতিষী তাঁর নিজের স্ত্রী কেউ নির্যাতন করত বলে অভিযোগ রয়েছে তাঁর’ বিরুদ্ধে।বিদ্যুৎ-এর তার দিয়ে মারধোর করত বলে জানাগিয়েছে৷ এদিন বিচারক ধৃত জ্যোতিষী শম্ভু চক্রবর্তীকে দু’দিনের’ পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন৷