দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ নির্বাচনের মুখে রাজ্যজুড়ে রথ নিয়ে পরিবর্তন যাত্রা করার পরিকল্পনা করেছে বিজেপি। এই যাত্রায় কোচবিহার থেকে রথযাত্রার সূচনা করার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি রাজ্যে শুরু হচ্ছে বিজেপির এই রথযাত্রা। পাঁচ জায়গা থেকে পাঁচটি পৃথক রথ নিয়ে পথে নামবেন বিজেপি নেতৃত্ব।
সূচনা হবে নবদ্বীপ থেকে। প্রথম রথযাত্রার সূচনা করার কথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। জানা গিয়েছে, এক একটি যাত্রা চলবে ২০ থেকে ২৫ দিন। আর সেই যাত্রা শেষ হওয়ার পর, মার্চের শুরুতে বা মাঝামাঝি নরেন্দ্র মোদীকে এনে ব্রিগেড সমাবেশ করানোর চিন্তা শুরু করেছে রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে এ বিষয়ে আর্জিও জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষরা।
যদিও গত মাসে ২৩ জানুয়ারি, নেতাজি জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের পর ফের ৭ ফেব্রুয়ারি, আগামী রবিবার হলদিয়ায় রাজ্যের একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করতে রাজ্যে আসছেন নরেন্দ্র মোদী। তার মধ্যে সবথেকে উল্লেখযোগ্য গেইলের ২,৪৩৩ কোটি টাকার দোভি-দুর্গাপুর প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইনের উদ্বোধন। দুর্গাপুর পর্যন্ত আসা পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সেখান থেকে ক্যাসকেড ট্রাকে নিয়ে এসে কলকাতায় সিএনজি স্টেশন এবং বাড়ির রান্নাঘর ও কল-কারখানায় পাইপে করে সরবরাহ করার পরিকল্পনা করেছে বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারীকে। দিব্যেন্দু এখনও তৃণমূল সাংসদ হলেও তাঁর দলবদল নিয়ে জোর জল্পনা চলছে।
অন্যদিকে, বিজেপি-র রথযাত্রায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে, এই আশঙ্কার কথা তুলে ধরে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। আবার রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে এই রথযাত্রার অনুমতি চাওয়া হলেও নবান্নের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যে যে এলাকা দিয়ে রথযাত্রা যাওয়ার কথা, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের থেকে অনুমতি নিতে হবে। বিজেপি নেতৃত্ব অবশ্য অনুমতি না পেলে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার চিন্তাভাবনাও শুরু করে দিয়েছে। যদিও জনস্বার্থ মামলায় আবেদনকারী বিজেপি-কেও ‘পার্টি’ করায় সেখানেও নিজেদের বক্তব্য রাখতে পারবে গেরুয়া শিবির। রথযাত্রা হলে তার শেষে মোদীকে এনে ব্রিগেড সমাবেশ করিয়ে প্রচারে ঝড় তুলতে চাইছে তারা।