দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ নেপাল সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকে পড়েছে সাত পাকিস্তানি জঙ্গি, এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। নিয়ন্ত্রণরেখায় নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো। সেখানে সুবিধা করতে না পেরেই নেপাল সীমান্তকে বেছে নিয়েছে জঙ্গিরা। গোয়েন্দা সূত্র বলছে, জঙ্গিরা উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর ও অযোধ্যায় ঘাঁটি গেড়েছে। জম্মু-কাশ্মীরের ঢোকার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে।
এনআইএ জানিয়েছে, প্রচুর পরিমাণে আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ভারতে ঢুকেছে ওই জঙ্গিরা। তাদের মধ্যে পাঁচ জনকে সনাক্ত করা গেছে, যাদের নাম মহম্মদ ইয়াকুব, আবু হামজা, মহম্মদ শাহবাজ, নিসার আহমেদ ও মহম্মদ কুয়ামি চৌধুরী। বাকি দু’জনের বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। গোয়েন্দা রিপোর্ট পেয়েই ওই দুই জেলার প্রশাসনকে সতর্ক করা হয়েছে। গোটা উত্তরপ্রদেশ জুড়ে জারি হয়েছে রেল অ্যালার্ট।
জম্মু-কাশ্মীর দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ হওয়ার পর থেকে নিরাপত্তাবেষ্টনী আরও মজবুত করা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণরেখায় সতর্ক পাহারা। গোয়েন্দা সূত্র বলছে, উপত্যকায় সরাসরি ঢুকতে না পেরে তাই নেপাল সীমান্তকেই বেছে নিচ্ছে জঙ্গিরা। ভারতে ঢুকে উপত্যকার জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করছে। অনুপ্রবেশকারী এই সাত জঙ্গিরও টার্গেট উপত্যকায় আস্তানা গড়ে তোলা।
বালাকোটে জইশ গোষ্ঠীর তৎপরতা নিয়ে সম্প্রতি রিপোর্ট দিয়েছিল এনআইএ। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছিল, বালাকোট অভিযানের সাত মাস পরে সেই জঙ্গি ঘাঁটিকে ফের গড়ে তুলতে নেমেছে জইশ-ই-মহম্মদের জঙ্গিরা। এবং এ সবের পুরোটাই চলছে পাক মদতে। সীমান্তে ক্যাম্প করে রয়েছে অন্তত ৫০০ জঙ্গি। ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। এমনকী জানা গিয়েছে, জইশের হাত ধরেই ভারতে সন্ত্রাস চালাতে চাইছে পাকিস্তান। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এও জানিয়েছে, নতুন করে মানসেরা, গুলপুর, কোটলির জঙ্গি শিবিরে প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। খাইবার পাখতুনখোয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে জইশ নতুন করে জঙ্গি নিয়োগ করছে। তাদের ফিদায়েঁ প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে বলে খবর।