

নেপাল পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মন্ত্রী সভার বৈঠকের পর এদিন প্রধানমন্ত্রী জানান, নেপালে যে হিংসার ঘটনা ঘটছে তা হৃদয়বিদারক। এর পাশাপাশি, নেপালগামী বিমান পরিষেবা সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে এদিন। খোলা হয়েছে জরুরি হেল্প লাইন নম্বর।

নেপালের সার্বিক পরিস্থিতি এবং তরুণদের প্রাণহানির ঘটনায় তিনি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তাঁর কথায়, নেপালের স্থিতিশীলতা, শান্তি এবং অগ্রগতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নেপালের জনসাধারণের উদ্দেশেও শান্তি বজায় রাখার বার্তাও দিয়েছেন মোদী।

https://x.com/narendramodi/status/1965455881635524977?t=VaQTfZIva4cmxSCA9-piow&s=19
সরকার বিরোধী আন্দোলনে গতকালই ভেঙে পড়ে নেপালের ওলি সরকার। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় বন্ধ করে দেওয়া হয় কাঠমান্ডু বিমানবন্দর। উত্তাল পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে কাঠমান্ডুগামী সব বিমান পরিষেবা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া এবং ইন্ডিগো। বন্ধ রাখা হয়েছে সংযোগ রক্ষাকারী (কানেকটিং) বিমানও।
দিল্লি থেকে কাঠমান্ডুগামী নেপাল এয়ারলাইন্স-এর বিমানও বন্ধ রাখা হয়েছে। স্পাইস জেট এবং এয়ার ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আজও কাঠমান্ডু থেকে ভারতে আসা এবং যাওয়ার যাবতীয় বিমান পরিষেবা স্থগিত থাকবে। ইন্ডিগোর তরফ থেকে জানানো হয়েছে আপাতত ১০ তারিখ দুপুর ১২ টা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হচ্ছে এই পরিষেবা।

এয়ার ইন্ডিয়া সূত্রে খবর গতকাল দিল্লি থেকে কাঠমান্ডুগামী একটি বিমানের চালকরা অবতরণের সময় বিমানবন্দরে ধোঁয়া এবং আগুন দেখতে পান। বিমান চালকরা তৎক্ষণাৎ সিদ্ধান্ত নেন অবতরণ না করার। দিল্লি ফিরে আসে বিমানটি। অপর একটি এয়ার ইন্ডিয়া বিমান দিল্লি থেকে কাঠমান্ডুর উদ্দেশ্যে রওনা দিলেও লখনউ তে ফিরে আসতে বাধ্য হয়। পরে বিমানটিকে দিল্লিতে ফেরত পাঠানো হয়। প্রসঙ্গত, দিল্লি থেকে রোজ ৬ টি এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান কাঠমান্ডু যায়। আপাতত স্থগিত সবকটিই।

কেন্দ্রের তরফ থেকেও দেশের নাগরিকদের জন্য জারি করা হয়েছে সতর্কবার্তা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত নেপাল ভ্রমণ না করতে অনুরোধ করা হয়েছে ভারতীয়দের। যে ভারতীয়রা এই মুহূর্তে নেপালে রয়েছেন, তাঁদের রাস্তায় না বেরতে এবং বাড়ির ভিতরে থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।
প্রয়োজনে স্থানীয় প্রশাসন কিংবা ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আপদকালীন পরিস্থিতিতে বিশেষ নিরাপত্তা হেল্পলাইন +৯৭৭ ৯৮০৮৬০২৮৮১ এবং +৯৭৭ ৯৮১০৩২৬১৩৪-এ যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে ভারতীয় নাগরিকদের। সরাসরি ভারতীয় দূতাবাসে যোগাযোগ করা যাবে এই নম্বরগুলির মাধ্যমে।
কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ এবং নেপালের সীমান্ত। জরুরি ভিত্তিতে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার বৈঠক করেছেন উত্তরবঙ্গের আইজি এবং দার্জিলিংয়ের এসপির সঙ্গে। মোতায়েন করা হয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স এবং কমব্যাট ফোর্স। নেপাল সংলগ্ন দার্জিলিংয়ের পানিট্যাঙ্কি অঞ্চলে বাড়তি নজর রাখা হচ্ছে বলেও খবর। বঙ্গ নেপাল সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছে সশস্ত্র সীমা বল এসএসবি।