দ্বিতীয় মোদী সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করলেন দেশের প্রথম পূর্ণ সময়ের মহিলা অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এক নজরে দেখে নিন আয়কর সংক্রান্ত কয়েকটি ঘোষণা।
আধার কার্ডের মাধ্যমে কর জমা দেওয়া যাবে।
৪৫ লাখ টাকা পর্যন্ত গৃহঋণের সুদে আয়কর ছাড় সাড়ে তিন লাখ টাকা।
এতদিন এই ছাড় ছিল ২ লাখ টাকা। বাড়ল দেড় লাখ টাকা।
পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ে কোনও কর দিতে হবে না। নতুন কোনও বদল এল না।
ডিজিটাল পেমেন্টে কোনও চার্জ লাগবে না।
বৈদ্যুতিন গাড়ি কিনলে দেড় লাখ টাকা আয়করে ছাড়।
২ থেকে ৭ কোটি টাকা বার্ষিক আয়ে লাগবে সারচার্জ।
ব্যাঙ্ক থেকে বছরে এক কোটির বেশি টাকা তুললে ২ শতাংশ সারচার্জ।
বিদ্যুৎচালিত গাড়ির উপরে জিএসটি ১২ শতাংশ থেকে কমে ৫ শতাংশ।
দ্বিতীয়বার মোদি সরকারের পূর্ণাঙ্গ বাজেটে স্বস্তি মধ্যবিত্তের। শুক্রবার বাজেটে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ জানিয়ে দিলেন, পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পুরোপুরি করছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে ধনী ব্যক্তিদের কাছ থেকে আরও বেশি কর আদায়ের পথে কেন্দ্র।
যাঁদের আয় বার্ষিক ২ কোটি থেকে ৫ কোটি টাকা তাঁদের বাড়তি ৩ শতাংশ সারচার্জ দিতে হবে। আর যাঁদের ৫ থেকে ৭ কোটি টাকা বার্ষিক আয়ে ৭ শতাংশ অতিরিক্তি সারচার্জ দিতে হবে। অর্থাৎ মধ্যবিত্তের কর কাঠামোয় কোনও পরিবর্তন না করে উচ্চবিত্তের কাছ থেকে বেশি কর আদায় করবে কেন্দ্র।
এদিকে, কর্পোরেট করের ক্ষেত্রেও বিশেষ ছাড়ের কথা ঘোষণা করল কেন্দ্র। এবার থেকে ৪০০ কোটি টাকা পর্যন্ত টার্নওভার রয়েছে এমন সংস্থাকে ২৫ শতাংশ কর্পোরেট কর দিতে হবে। আগে ২৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত টার্নওভার রয়েছে এমন সংস্থাগুলিই লেনদেনের ক্ষেত্রে এই ২৫ শতাংশ কর দিল। অর্থাৎ এক্ষেত্রে উর্ধ্বসীমা বাড়িয়ে দেওয়া হল।
এর ফলে লাভবান হবেন দেশের ৯৯.৩ শতাংশ সংস্থা। ০.৭ শতাংশ সংস্থা এর বাইরে থাকবে। এর পাশাপাশি গৃহঋণেও উল্লেখযোগ্য ছাড়ের কথা ঘোষণা করলেন নির্মলা সীতারমণ। এবার থেকে ৪৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত গৃহঋণে মোট ৩.৫ লক্ষ টাকা কর ছাড়। এতদিন পর্যন্ত ছাড় মিলত ২ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ এক ধাক্কায় ১.৫ লক্ষ টাকা কর ছাড় দেওয়া হল।
২০২০ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত নেওয়া গৃহঋণে এই ছাড় মিলবে। এর পাশাপাশি আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করলেন নির্মলা সীতারমণ। এবার থেকে কর দেওয়ার ক্ষেত্রে প্যান নম্বর বা প্যান কার্ড না থাকলেও চলবে। আধার নম্বরের সাহায্যেও কর জমা দেওয়া যাবে।
এর আগে কর সম্বন্ধে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুরুতেই করদাতাদের ধন্যবাদ জানান তিনি। পাশাপাশি বলেন, গত কয়েকবছরে প্রত্যক্ষ কর বেড়ে ৭৮ শতাংশ। ২০১৩–১৪ অর্থবর্ষে যেখানে প্রত্যক্ষ কর ছিল ৬.৩৮ লক্ষ কোটি টাকা। সেটা ২০১৭–১৮ আর্থিক বর্ষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১.৩৭ লক্ষ কোটি টাকা। এর ফলে সরকারি আয়ও বেড়েছে।