২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর দিল্লির রাস্তায় বছর ২৩-এর প্যারামেডিক্যালের ছাত্রীকে নৃশংস ভাবে গণধর্ষণ করেছিল ছ’জন। প্রায় সাত বছর পর রায় দিয়েছিল আদালত। ফাঁসির সাজা শুনিয়েছিলেন বিচারপতি। তবে সাজা ঘোষণার পর থেকেই শুরু হয়েছিল নানা টালবাহানা। আইনের মারপ্যাঁচে সাজা রদ করার সমস্ত রকম আর্জি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল দোষীরা। তবে একে একে খারিজ হয়েছে সবকিছুই। এমনকি চার দোষীর প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও। শেষবার পবন কুমারের প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ হওয়ার পরেই আদালত ফাঁসির নতুন তারিখ ঘোষণা করেছিল।
এর আগে তিনবার ফাঁসি পিছিয়ে গিয়েছে নির্ভয়া দোষীদের। তবে শেষবার পবন গুপ্তর প্রাণভিক্ষার আর্জি রাষ্ট্রপতি খারিজ করার পরেই বিচারক ধর্মেন্দ্র রানা আগামী ২০ মার্চ ফাঁসির দিন ঠিক করেন। জানা গিয়েছে, এবার দোষীদের আইনজীবী এপি সিং-ও সুপ্রিম কোর্টে বলেছেন যে এবার আর আদালতের ফাঁসির দিনক্ষণ ঠিক করার ক্ষেত্রে বাধা নেই। অর্থাৎ এটা স্পষ্ট যে সাজা মকুব বা ফাঁসি পিছনো কিংবা অন্যান্য কোনও টালবাহানা করার সমস্ত পথ এবার বন্ধ হয়ে গিয়েছে চার দোষীর সামনে।