দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ নবান্ন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জোড়া শিল্পের শিলান্যাস করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতাবন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার দুপুরে এই ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন ইতালি, নেদারল্যান্ডস এবং জার্মানির অ্যাম্বাসেডররাও। বানতলা চর্ম নগরীতে ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট এবং সাসটেইনেবল ডেভলপমেন্ট প্রোজেক্ট এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ২০০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন মমতা বলেন, “গত ডিসেম্বরে দিঘায় যে বিজনেস কনক্লেভ হয়েছিল, সেখানে স্বাক্ষরিত হওয়া এমওইউ বাস্তবায়িত হওয়া শুরু হয়ে গেল। ইচ্ছা থাকলে যে উপায় হয় এটা তার উদাহরণ।”
মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন, এই দুই প্রকল্পে তিন মিলিয়ন ইউরো (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২৬ কোটি টাকা) বিনিয়োগ হয়েছে। তাঁর কথায়, “বাংলা আজকে এমএসএমই সেক্টরে দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। বাংলার ভিশন আছে, মিশন আছে। তাই অ্যাকশন হচ্ছে এবং রিঅ্যাকশনও পাওয়া যাচ্ছে।”
এই দুটি প্রকল্পই পরিবেশ বান্ধব বলে জানিয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, পৃথিবীকে বাঁচাতে, পাহাড়-সমুদ্র-নদীকে বাঁচাতে, সর্বোপরি মানব সভ্যতাকে বাঁচাতে পরিবেশের প্রতি আমাদের নজর দিতেই হবে।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন দাবি করেন, বানতলায় যে চর্মনগরী গড়ে উঠছে তা পৃথিবীর সেরা। শুধু তপসিয়া বা রাজ্যের অন্য জায়গার চর্ম কারখানাগুলিই নয়, চেন্নাই, লখনউয়ের প্রতিষ্ঠানও এখানে আসছে। লক্ষাধিক কর্মসংস্থান হবে বলেও দাবি করেন মমতা।
এদিন ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিয়ে অর্থমন্ত্রীও এই দুই প্রকল্পকে রাজ্যের শিল্পায়নের ক্ষেত্রে অন্যতম পদক্ষেপ বলে দাবি করেন। বিভিন্ন দেশের অ্যাম্বাসেডররাও প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বের।
যদিও এ নিয়ে বিরোধীরা বলছেন, তৃণমূলের জমানায় তোলাবাজি ছাড়া অন্য কোনও শিল্প টিকবে না। তাই রাজ্যে শিল্প আনার প্রাক শর্ত হল একুশে তৃণমূলের বিদায়.সুনিশ্চিত করা। বিজেপির এক মুখপাত্র বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন তখন রোজই শিলান্যাস করতেন। শেষমেশ সব শিলাতেই শ্যাওলা পড়ে গেছে। এক সিপিএম নেতার কথায়, এই ন’বছরে মুখ্যমন্ত্রীকে কয়েকশো পুজো প্যান্ডেলের ফিতে কাটতে দেখেছি। কিন্তু একটাও কারখানার ফিতে কাটতে দেখিনি ৷