দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বাইশ গজে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় যতটা খেলেছেন, সম্ভবত তার বাইশ গুণ আলোচনায় থেকেছেন বরাবর। কখনও ক্রিকেট রাজনীতির শিকার হয়ে মহারাজ আলোচনায় তো কখনও তাঁকেই দেখা গিয়েছে রাজনীতির অলিন্দে। প্রত্যক্ষ বা ঘোষিত ভাবে কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগাযোগের কথা সৌরভ যদিও বরাবরই অস্বীকার করেছেন, কিন্তু তবুও
এ বার সেই জল্পনা, আলোচনায় নতুন রংয়ের প্রলেপ দেখা গেল। বুধবার আইসিসি প্রেসিডেন্ট পদে তাঁর মেয়াদ ফুরোতেই সরে দাঁড়িয়েছেন শশাঙ্ক মনোহর। তার পর ক্রিকেটের সেই সর্বোচ্চ প্রশাসনিক পদের উত্তরসূরীর সন্ধানে সৌরভের সম্ভাবনা নিয়ে যখন পুর্বানুমান করতে শুরু করেছেন বাইশ গজের কূটনীতিকরা, তখন দেখা গেল অন্য এক দৃশ্য। বৃহস্পতিবার সশরীরে নবান্নে হাজির মহারাজ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করলেন তিনি।
এক সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সৌরভের ব্যক্তিগত সখ্য দৃশ্যত ভাল ছিল। রেড রোডের কার্নিভালে হোক বা ইডেনের অনুষ্ঠানে দিদির পাশেই দেখা গিয়েছে মহারাজকে। কিন্তু বিসিসিআইয়ের প্রেসি়ডেন্ট পদে সৌরভের অভিষেকের ঘটনায় স্পষ্ট হয়ে যায় বিজেপির দ্বিতীয় মহাশক্তিধর নেতাটির সঙ্গে সৌরভের সম্পর্কও মজবুত টিএমটি বারের মতই।
ফলে শুরু হয়ে যায় জল্পনা। একুশের নির্বাচনে বিজেপির পতাকা হাতে নিয়ে তিনিই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠবেন বলে ভাবতে শুরু করে দেন অনেকেই। সেই ভাবুকদের দলে শুধু গেরুয়া শিবিরের নিচুতলার নেতারা নন, মাঝারি, আরেকটু উঁচু এবং উপরের সারির কয়েকজনও রয়েছেন। বৃহস্পতিবার নবান্নের সাক্ষাত সেই ভাবুকদের চিন্তা হয়তো বাড়িয়ে দিয়েছে।
ঘটনা হল, এই সাক্ষাত নিয়ে সৌরভ বা মুখ্যমন্ত্রী কেউই কোনও মন্তব্য করেননি। সৌরভ ভিআইপি গেট দিয়ে এদিন নবান্নে ঢোকেন। সেখানে সাংবাদিকদের যাওয়া বারণ। তাই তাঁকে প্রশ্ন করার সুযোগও মেলেনি।
তবে পর্যবেক্ষকদের মতে, প্রথমত আইসিসি-র নির্বাচনের সঙ্গে এই সাক্ষাতের দূর দূর থেকে কোনও সম্পর্ক হয়তো নেই। কারণ, আইসিসি-র প্রধান পদে সৌরভের নাম অনেকে ভাবছেন ঠিকই কিন্তু সেক্ষেত্রে কিছু জটিলতা রয়েছে। বিসিসিআইয়ের শীর্ষ পদে সৌরভের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের বিবেচনাধীন রয়েছে।
ফলে হতে পারে কোনও ব্যক্তিগত কারণে বা বিসিআইয়ের কোনও কর্মসূচির ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। আইপিএল টুর্নামেন্ট বকেয়া রয়েছে। তা নিয়ে স্পনসরদের সঙ্গে চুক্তিও রয়েছে। হতে পারে সে ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর মতামত জানতে গিয়েছিলেন তিনি বা কোনও অনুমতি চাইতে গিয়েছিলেন সৌরভ।