আমরা রোজ প্রেস কনফারেন্স করছি, তবু কেউ কেউ নেগেটিভ পাবলিসিটি করছে।
লোকের বাড়িতে বাড়িতে স্ক্রিনিং চলছে। এটা খুব সোজা নয়।
উত্তরপ্রদেশের পরেই বাংলা জনবহুল রাজ্য। ফ্লাইট বেশি চলে, ট্রেন বেশি চলে। ফলে এটা সেনসিটিভ রাজ্য।
আজও প্রধানমন্ত্রীর একটি বৈঠক ছিল। আমাদের বলার কথা ছিল না। তবু আমরা বলেছি।
হঠাৎ করে আমাদের সার্কুলার দিয়ে দিচ্ছে। তাতে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু আলোচনা করতে হবে।
একদিকে বলছে লকডাউন খুব কড়া করতে হবে। আবার বলছে সব দোকান খুলে দাও।
আমরা চাই তো সব দোকান খুলতে। কিন্তু তাহলে তো লোকে যাতায়াত করবে। ভিড় হবে। ভিড় বাড়লে লকডাউন ব্যর্থ হবে।
তাহলে কোনটা করব? কেন্দ্র যা বলছে, তাতে ক্ল্যারিটির অভাব আছে।
আমরা ঝগড়া করতে চাই না, কোভিডের ফাইট করতে চাই মানুষের স্বার্থে।
আমি তো লকডাউনের পক্ষে। তাহলে দোকান কী করে খুলব? দোকান খুললে লোককে কী করে বলব, দোকানে যাবেন না?
আমি মুখ্যসচিবকে বলেছি ক্যাবিনেট সেক্রেটারিকে চিঠি পাঠাতে যাতে একটা ক্ল্যারিটি দেয় আমাদের।
রেড, অরেঞ্জ, গ্রিন জোন গুলির ক্যাপাসিটি কি হবে তা নিয়ে আমরা পরশু আলোচনা করব।
আশা করি ক্ল্যারিটি দেওয়া হবে।
সেন্ট্রাল পলিসি ঠিক করে দেয়, প্রয়োগ করতে হয় রাজ্যকে।
রাজ্য ভাল করলে প্রশংসা করে না, খারাপ করলে নিন্দা করে।
সব রাজ্যের সব সমান নয়। পাহাড়ি রাজ্যে অনেক দূরে দূরে মানুষ থাকে। এখানে ঘনঘন থাকে।
চেষ্টার কোনও ত্রুটি নেই।
আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যাঁর থাকার জায়গা আছে, ঘর আছে, তাঁর করোনা হলে তিনি নিজের বাড়িতেই আইসোলেটেড থাকতে পারেন।
ঘরে থাকলে নিজের মতো ভাল থাকতে পারবেন। সারা পৃথিবীতে এমনটাই চলছে।
জায়গা না থাকলে, একটা ঘরে ১০ জন থাকলে, তাদের জন্য সরকার ব্যবস্থা করবে। সবার জন্য করতে পারে না সরকার।
বাড়িতে থাকলে কী কী মেনে চলা দরকার, তার একটা গাইডলাই দিয়ে দেব।
প্রাইম মিনিস্টারের কথায় যা বুঝলাম, তাতে করোনা এখনও চলবে। কিন্তু আমরা তো একটা জিনিস নিয়ে পড়ে থাকতে পারি না।
শ্রমিকদের চলবে কী করে। টাকাটাও তো দিতে হবে।
সে সব শোঅফ করার জন্য প্রোজেক্ট আছে সেগুলো রিফর্মস করলে তো আর ডিএ কমাতে হয় না।
যে রিফর্মসে মানুষের পেটের ভাত নষ্ট হয় সেটাকে রিফর্মস বলা যায় না। আমরাও রিফর্ম করেছি, কারও চাকরি খাইনি।
সবার অ্যাকাউন্টে তো সেন্ট্রাল গর্ভমেন্ট ১০ হাজার টাকা করে দিতে পারে। ওরা তো এক সময় বলেছিল প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ টাকা করে দেবে। অনেক টাকা তো জমেছে এবার তো সেই টাকা দিন। তাহলে তো লকডাউন চললে সাধারণ মানুষ চালিয়ে নিতে পারে।
সেন্ট্রাল টিম এসে ডাকাডাকি করছে। আমাদের কি আর কাজ নেই?
আমরা লকডাউন করেছি কেন্দ্র বলার আগেই।
কোভিড ম্যানেজমেন্টের জন্য ক্যাবিনেট কমিটি তৈরি করেছি।