দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ২১-এর নির্বাচনে তৃণমূলের পাখির চোখ নন্দীগ্রাম। তাই নন্দীগ্রাম দিবসের দিনই দলের নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করবে তৃণমূল। নন্দীগ্রামের কর্মিসভায় গিয়ে মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘ভুলতে পারি নিজের নাম। ভুলবো নাকো নন্দীগ্রাম।’ আর তাই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই তিনি যে ফের নিজের কেন্দ্রের প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়বেন, তার ইঙ্গিত দিয়েছেন নেত্রী। তবে সবার আগে আগামী ১৪ মার্চ দলের নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিবারের মতো নন্দীগ্রাম দিবসে শহীদদের উদ্দেশে স্মৃতি তর্পণ করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তারপরেই তিনি কালীঘাটের বাড়ি থেকে ইস্তেহার প্রকাশ করবেন। তৃণমূল সূত্রের খবর, বরাবরের মতোই নির্বাচনী ইস্তাহার তৈরিতে মমতা দলের নিচুতলার কর্মী থেকে সাংসদ, বিধায়ক-সহ সকলের মতামত নিয়েছেন। সেই মতামতের ভিত্তিতে তিনি একটি কমিটিও গঠন করে দিয়েছিলেন। ওই কমিটিই চূড়ান্ত ইস্তেহার তৈরি করেছে। মমতা নিজেও সেই কমিটির সদস্য।
প্রসঙ্গত, বরাবরই নির্বাচনী ইস্তেহার তৈরির আগে দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাদের মতামত নিয়েছেন দলনেত্রী। বিরোধীদের রাজনৈতিক আক্রমণের মোকাবিলা কোন পথে করা হবে ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে রয়েছে ইস্তেহারে। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ইস্তেহারে বেশ কিছু বিষয়কে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে থাকতে পারে বিনামূল্যে রেশন ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা, শিল্প ও কর্মসংস্থানের মতো বিষয়গুলি। ইস্তেহারে গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে তৃণমূলের বিগত ১০ বছরের উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলিকে।
অন্যদিকে, সিএএ-এন আর সি ইস্যুও প্রাধান্য পেতে পারে তৃণমূলের ইস্তেহারে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ধর্মনিরপেক্ষতাও ইস্তেহারে গুরুত্ব পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রামে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আহত হওয়ার পর নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশের কাজ থমকে যায়।