দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ সর্বভারতীয় বিজেপির সহ সভাপতি পদে গত শনিবার মনোনীত হয়েছেন বাংলার প্রবীণ নেতা মুকুল রায়। বিজেপির যা সাংগঠনিক কাঠামো তাতে এখন দলের অন্যতম শীর্ষ সারির নেতা তিনি। তাই সহ সভাপতি পদে মনোনীত হওয়ার পর দিল্লিতে তাঁকে তেমনই মর্যাদা ও সম্মানের সঙ্গে অভ্যর্থনা জানালেন বিজেপি নেতৃত্ব।
বিজেপির সাংগঠনিক পদ পাওয়ার পর আজ কলকাতা থেকে দিল্লি পৌঁছন মুকুলবাবু। কিন্তু দিল্লি বিমানবন্দরে পৌঁছে তিনি নিজেই কার্যত অবাক হয়ে যান। দেখেন, তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন বিজেপির দুই সাংসদ মনোজ তিওয়ারি ও রবি কিষাণ। এঁরা দুজনেই ভোজপুরী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা ছিলেন। পরে সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেন। মনোজ তিওয়ারি উত্তর-পূর্ব দিল্লি লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির সাংসদ। আর রবি কিষাণ উত্তরপ্রদেশের জৌনপুরের লোকসভা সাংসদ।
সাম্প্রতিক কালে পশ্চিমবঙ্গের কোনও নেতা সর্বভারতীয় বিজেপির সংগঠনে এমন মর্যাদা ও কদর পাননি। পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, এতে শুধু রাজ্য রাজনীতিতে মুকুল রায়ের রাজনৈতিক উচ্চতা বাড়ল তা নয়, জাতীয় রাজনীতিতেও ফের প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠলেন তিনি। অদূর ভবিষ্যতে দল তাঁকে রাজ্যসভায় মনোনীত করতে পারে।
Reached Delhi airport for organizational work. Honored to be welcomed by respected Lok Sabha MPs Shri Manoj Tiwari Ji @ManojTiwariMP and Shri Ravi Kishan Ji @ravikishann. pic.twitter.com/97NIYCZxCt
— Mukul Roy (@MukulR_Official) September 30, 2020
সূত্রের খবর, আগামী কাল মুকুল বাবুদের বৈঠকে ডেকেছেন বিজেপি সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা। ওই বৈঠকে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা বাংলার পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, সর্বভারতীয় সম্পাদক শিবপ্রকাশ, অরবিন্দ মেনন প্রমুখ উপস্থিত থাকতে পারেন। একুশে বাংলায় ভোট প্রস্তুতি নিয়েই ওই বৈঠক ডাকা হয়েছে। দলের এক সূত্রের মতে, ভোট প্রস্তুতি ও নির্বাচনী কৌশল নির্ধারণের জন্য সম্ভবত এ বার একটি কমিটি গড়ে দেওয়া হবে। সেই কমিটির নেতৃত্বে থাকতে পারেন মুকুলবাবু। কারণ, সর্বভারতীয় বিজেপি সংগঠনে তাঁর পদ মর্যাদা কৈলাসেরও উপরে।
এ ব্যাপারে এদিন মুকুলবাবুকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, দলীয় সভাপতি কাল ডেকেছেন, এটুকু জানি। বাকি কী হবে তা এখনই বলা সম্ভব নয়। তবে বিমানবন্দরে তাঁকে এদিন যেভাবে অভ্যর্থনা জানানো হয়েছে তা নিয়ে আপ্লুত মুকুলবাবু। দ্য ওয়ালকে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং দলীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাজি আমার উপরে যে আস্থা রেখেছেন সে জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আর আজ দিল্লিতে যে মর্যাদা আমাকে দেওয়া হল তা চিরদিন মনে থাকবে। আমি সত্যিই অভিভূত”।