দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ সাতসকালেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল মহানগরী।প্রত্যক্ষদর্শী মিতুন রায় বলেন শনিবার ভোর ৫:১০ নাগাদ অন্যান্য দিনের মতোই দ্বিতীয় হুগলি ব্রিজের হাওড়াগামী টোল প্লাজায় সার দিয়ে দাঁড়িয়েছিল বেশ কয়েকটি গাড়ি ও লরি। এদিন একটি ভারী পণ্যবাহী গাড়ি যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে আচমকাই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আরেকটি লরিতে ধাক্কা মারে। ওই লরিটি ধাক্কা মারে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্যাক্সিকে। এবং তা ধাক্কা মারে তাঁদের পর্যটকের গাড়িকে। সংঘর্ষের জেরে আহত হয়েছেন অনেকেই। মিতুন বাবু দেশের সময় কে জানান, তাঁরা কলকাতার কসবা থেকে তাজপুর যাচ্ছিলেন পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন,তাঁদের গাড়ির নীচে ঢুকে যায় ট্যাক্সিটি৷ তাঁদের পরিবারের সদস্যরা ছিল পর্যটকের গাড়িতে এই ঘটনায় তাঁদের প্রায় সকলেই আহত হয়েছেন৷
সূত্রের খবর, ট্যাক্সির মধ্যে থাকা চারজন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হেস্টিংস থানার পুলিশ। আহতদের নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতালে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় এক পুরুষ যাত্রীর। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন বাকিরা। এদিকে দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দেন পুলিশ আধিকারিকেরা। দুর্ঘটনা কবলিত গাড়িগুলিকে ইতিমধ্যেই হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। ঠিক কী কারণে এদিনের ঘটনাটি ঘটল খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, দু’দিন আগেই জাতীয় সড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনার জেরে মারা গিয়েছিলেন ৬ জন। তীব্র গতিতে ছুটে আসা একটি স্করপিও গাড়ির সামনের চাকা ফেটে তা পালটি খায়। সে সময়েই সামনে চলে আসে অটো। সংঘর্ষের জেরে ঘটনাস্থলে মারা যান ৫ জন। পরে জঙ্গিপুর হাসপাতালে মারা গিয়েছিলেন আরও একজন। চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার দুপুরে সুতি থানার ধলার মোড়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল। আরও সাত জন গুরুতর আহত হয়েছিলেন ওই ঘটনায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছিলেন, সামশেরগঞ্জের দিক থেকে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে আসছিল স্করপিও গাড়িটি। হঠাৎই সামনের চাকা ফেটে গাড়িটি উল্টে জাতীয় সড়কের দ্বিতীয় লেনে ঢুকে পড়ে একটি যাত্রীবোঝাই অটোকে ধাক্কা মারে। অটোর পেছনে একটি টোটো ছিল। তাতেও ধাক্কা লাগে। ঘটনাস্থলেই মারা যান স্করপিওর দুই যাত্রী। অটোর ১০ জন যাত্রীর মধ্যে তিন জন ঘটনাস্থলে মারা যান। পরে জঙ্গিপুর মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে মারা যান আরও এক জন।