দেশের সময় ওয়েবডেস্ক: কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের নেতৃত্বে দেশে রাজনৈতিক মহামারী চলছে বলে তোপ দাগলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার টিএমসিপির প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চ থেকে ভার্চুয়াল সভায় তৃণমূলনেত্রী বলেন, “করোনা মহামারীকে রুখে দেব। কিন্তু দেশে রাজনৈতিক মহামারী চলছে।”
ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে দিদি বলেন, “এই রাজনৈতিক মহামারীর বিরুদ্ধে হয় লড়বেন, নয় মরবেন। ওরা ভয় দেখাবে। কিন্তু হাম লড়েঙ্গে। হাম এক সাথ লড়েঙ্গে অউর জিতেঙ্গে।”
একুশে জুলাইয়ের সভা থেকে একুশের ভোটের সুর বেঁধে দিয়েছিলেন মমতা। এদিনের সভামঞ্চেও একুশের ভোটের কথা বললেন তিনি। ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মমতা বলেন, “আগামী দিন দেশের মানুষকে স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেবে বাংলা। মনে রাখবেন, একুশ বিপ্লবের কথা বলে। একুশে এমন জয় আমাদের হবে যে সারা দেশের মানুষ দেখবে, বাংলাকে ভয় দেখিয়ে দমিয়ে দেওয়া যায় না।”
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপি মিথ্যা রটাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এদিন তিনি বলেন, “ওরা পাঁচটা মিথ্যে বললে আপনি ১০টি সত্যি দিয়ে তার জবাব দিন।” তাঁর কথায়, “ভারতের আকশি আকাশটাকে আজ মিথ্যের কালো চাদর দিয়ে ঢেকে দিতে চাইছে বিজেপি। আমাদের ছাত্র, যৌবনকে এগিয়ে এসে ওই কালো চাদরটা সরিয়ে দিতে হবে।”
দু’দিন আগে সনিয়া গান্ধীর ডাকা ভার্চুয়াল বৈঠকে জিএসটি নিয়ে কেন্দ্র বঞ্চনা করছে বলে অভিযোগ করেছিলেন মমতা। এদিনও সেই প্রসঙ্গ তোলেন তিনি বলেন, “বলেছিল পাঁচ বছর জিএসটির অংশ রাজ্যকে দেবে। অথচ কিছুই দিচ্ছে না। কেন্দ্রের সরকার যা ইচ্ছে তাই করছে। সবাইকে চুপ করিয়ে রাখতে চাইছে।” সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই বলেও অভিযোগ করেন দিদি। তাঁর কথায়, “জাতীয় স্তরের সংবাদমাধ্যমকে ভয় দেখিয়ে খবর করতে দেওয়া হচ্ছে না। এক ভয়াবহ ভারতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা।”
মুখ্যমন্ত্রীর এই আক্রমণের জবাবে বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি তথা বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেন, “দিদিমণির রাজত্বে বাংলায় কেমন গণতন্ত্র রয়েছে তা রাজ্যের মানুষ দেখতে পাচ্ছেন। চাকরি, বেকারত্ব এসব নিয়ে কে প্রতিদিন মিথ্যে কথা বলছেন তাও রাজ্যের যুবকরা দেখছেন। মানুষ এই অরাজক অবস্থা থেকে মুক্তি চাইছেন। তাই এখন বাংলার ভোটের আগে দিল্লির দিকে নজর ঘোরাতে চাইছেন। কিন্তু এসব করে বিশেষ লাভ হবে না। বাংলার মানুষ তৃণমূলকে সরানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন।”