পার্থ সারথি নন্দী, বনগাঁ: ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে রাজ্যজুড়ে ব্যাপক হারে প্রচার শুরু করেছে তৃণমূল। আগামী ১৯ জানুয়ারি তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জির উপস্থিতিতে কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড ময়দানে আয়োজিত জনসভায় তার চূড়ান্ত নিদর্শন মিলবে। সেই সমাবেশকে ঐতিহাসিক সমাবেশে পরিণত করার জন্য তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রী, কর্মীরা একযোগে প্রচার শুরু করেছেন। তৃণমূলের লক্ষ্য, ওই দিনের জনসমাবেশে এযাবতকালের সমস্ত রেকর্ড ছাপিয়ে যাবে। সেই সমাবেশকে সফল করে তুলতে শুক্রবার বনগাঁ শহর তৃণমূল কংগ্রেসের আহবানে খেলাঘর ময়দানে এক জনসমাবেশের আয়োজন করা হয।় সেখানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। এর পাশাপাশি ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ছিলেন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর, বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, সুরজিৎ বিশ্বাস, বনগাঁর প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠ, ধীমান রায,় দীপেন্দু বিশ্বাস, অর্জুন সিং ,সহ একাধিক বিধায়ক। ছিলেন জেলা সভাধিপতি। বনগাঁ পুরসভার পুর প্রধান শঙ্কর আঢ্য, বনগাঁ গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোবিন্দ দাস এবং ছয়ঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রসেনজীৎ ঘোষ এবং জনপ্রতিনিধিরা। এই সমাবেশে শুভেন্দু বলেন, কেন্দ্রে হাতে গোনা কয়েকটি কর্পোরেট সংস্থার নির্দেশে বিজেপি সরকার চালাচ্ছে। তারা যা নীতি নিয়েছে তা দেশের গরীব সাধারন মানুষের পরিপন্থী। গ্যাসের দাম ৩০০ টাকা থেকে হাজার টাকায় পৌঁছেছে, রেলের ভাড়া ২২ শতাংশ বেড়েছে। কর চাপানো হয়েছে অনেক ক্ষেত্রে। এছাড়া নোট বন্দির মতো ব্যর্থতা তো রয়েছেই। ফলে দেশের মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। এমন এক জনবিরোধী সরকারকে অবিলম্বে ক্ষমতা থেকে হটিয়ে মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে ২০১৯ এ মমতা ব্যানার্জীর নেতৃত্বে কেন্দ্রে সাধারণ জনগণের সরকার গড়ে তুলতে হবে। তার জন্য আমরা তৃণমূল কর্মীরা পাড়ায় পাড়ায় সাইকেল মিছিল করে মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌঁছাব। বাম আমলে একাধিক গনহত্যার নায়িকরাই আজ লাল পোশাক বদলে গেরুয়া পোশাক ধারণ করেছে। আর সেই গেরুয়া ধারী বিজেপির নেতাদের হাত ধরে এই বাংলায় আবার কালো দিন ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। তা আমরা কোনভাবেই হতে দেব না। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক তার বক্তব্যে বলেন, বিজেপি রথ যাত্রার নামে ফুর্তি যাত্রা করছে। তাদের এই প্ররোচনায় পা দেবেন না। নরেন্দ্র মোদির মতন এমন জঘন্য স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী এদেশে আর কখনো আসেনি, আসবেও না। উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় বিজেপিসহ কোন বিরোধী দলের অস্তিত্ব নেই। আমরা আমাদের শক্তি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। তাই ঘাবড়ানোর কিছু নেই। আমরা এই জেলার পাঁচটি আসনেই জিতবো।