
একদিকে সূর্যের প্রখর তেজ। অন্যদিকে, সীমান্তে যুদ্ধের উত্তাপ! এরই মধ্যে জোর প্রস্তুতি সেনার। অপারেশন সিঁদুরের প্রাক্কালে সীমান্তের একাধিক গ্রামগুলি দেখেছে ভারতীয় সেনার যুদ্ধ প্রস্তুতির সেই চিত্র। পাঞ্জাবের ফিরোজপুর জেলায় সীমান্ত লাগোয়া একটি গ্রামেও প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিল সেনা। ঠিক সেই সময় দেশের মানুষকে সুরক্ষা দেওয়া এবং শত্রুপক্ষকে যোগ্য জবাব দেওয়ার জন্য সেনা যখন রোদ, গরমের মধ্যেও প্রস্তুতি নিচ্ছে, ঠিক সেই সময় এক ১০ বছরের বালক সমস্ত ভয়কে উপেক্ষা করে দুধ, লস্যি, জল, আইসক্রিম পৌঁছে দিয়েছে সেনার কাছে। সেই বালককেই এবার বিশেষ সম্মান জানাল ভারতীয় সেনা।

পাঞ্জাবের ফিরোজপুরের সীমান্ত লাগোয়া গ্রামের কৃষক সোনা সিংহের ছেলে শ্রাবণ সিং। দেশভক্ত এই বালক বড় হয়ে ভারতীয় সেনায় যোগ দিতে চায়। সেই কারণেই হয়তো ভারত-পাক সংঘাতের আবহে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলেও কোনও কিছুই বাধা হতে পারেনি তার জন্য। পাকিস্তানের সমস্ত অসৎ উদ্দেশ্য ভারতীয় সেনা যেভাবে রুখে দিয়েছে, ঠিক সেভাবেই সব ভয়কে উপেক্ষা করে দেশের রক্ষাকবচদের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল শ্রাবণ।

শ্রাবণের কথায়, “আমি ভয় পায়নি। বড় হয়ে আমি সৈনিক হতে চাই। আমাদের সেনাবাহিনীর জন্য জল, লস্যি, আইসক্রিম নিয়ে যেতাম। তাঁরাও আমাকে খুব ভালোবাসত।” দেশের সৈনিকদের জন্য শ্রাবণের ভালোবাসা এবং তার অদম্য সাহসের জন্য এই কৃষকের ছেলেকে সম্মান জানাল সেনা। সপ্তম ডিভিশনের জেনারেল কমান্ডিং অফিসার মেজর জেনারেল রাজীব সিং মানরাল একটি অনুষ্ঠানে শ্রাবণকে সম্মানিত করেন। একটি মেমেন্টো, আইসক্রিম ও বেশ কিছু খাবার জিনিস তুলে দেওয়া হয় শ্রাবণের হাতে।

শ্রাবণের বাবা সোনা সিং বলেন, “আমাদের এলাকায় সেনা মোতায়েন ছিল। গরমের মধ্যে সেনারা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। শ্রাবণ তাঁদের কাছে দুধ, লস্যি, আইসক্রিম পৌঁছে দিত। আমরাও শ্রাবণকে এই কাজে সাহস জুগিয়েছি। সেনা ওকে সম্মান জানিয়েছে। আমরা খুব খুশি।”
