দেশের সময় ওয়েবডেস্ক: বুধবার রাজ্যে লকডাউনের তৃতীয় দিনে বেশ কিছু ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি জানিয়েছেন, সরকারের তরফে দু’মাসের সামাজিক পেনশন (বিধবাভাতা, জহর পেনশন, জয় বাংলা প্রকল্প-সহ একাধিক সামাজিক প্রকল্প) একলপ্তে দেওয়া হবে।
এর আগেই আইসিডিএস এবং মিড ডে মিলের চাল, আলু একইসঙ্গে দিয়ে দেওয়ার ঘোষণা করেছেন তিনি। এদিন মমতা বলেন, রেশনেও একমাসের পণ্য একবারে দিয়ে দেওয়া হবে। রেশন দোকানে ভিড় কমানোর জন্যই এই ব্যবস্থা।
সেই সঙ্গেই তিনি ঘোষণা করেন রাজ্যে যত রকমের সামজিক পেনশন প্রকল্প চালু রয়েছে তার টাকা এক সঙ্গে দু’মাসেরটা পেনশনপ্রাপকদের দিয়ে দেওয়া হবে। যাঁদের মার্চ মাসের টাকা বাকি রয়েছে তাঁরা একসঙ্গে মার্চ ও এপ্রিল মাসের টাকা পাবেন।
আর যাঁরা মার্চ মাসের টাকা পেয়ে গিয়েছেন তাঁরা এপ্রিল ও মে মাসের টাকা একসঙ্গে পাবেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, লকডাউনের সময়ে পেনশনপ্রাপকদের হাতে এককালীন বেশি টাকা পৌঁছে দেওয়ার জন্যই এই উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার।
রাজ্যে হোম ডেলিভারি চালু রাখার জন্যও প্রশাসনকে নজর রাখতে বলেন মমতা। এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বলেন, “অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের হোম ডেলিভারি আটকাবেন না। পুলিশ সুপার, জেলাশাসক, মহকুমা শাসক, বিডিওকে এই ব্যাপারটা দেখতে হবে।” শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রী এদিন হোম ডেলিভারির সঙ্গে যুক্ত সংস্থগুলিকেও কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।
আগে থেকেই তারা যেন পুলিশ, প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে নেয়। পুলিশের কাছে আবেদন করলে ডেলিভারি বয়দের জন্য পাস দেওয়া হবে। পুলিসের দেওয়া সেই পাস সঙ্গে থাকলে ডেলিভারির সময়ে কেউ বাধা দেবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “হোম ডেলিভেরি সার্ভিস দিতে গিয়ে বাধা পেলে পুলিশের সঙ্গে দেখা করুন। পুলিশ একটা পাস দেবে। গোটা রাজ্যে একই পাস প্রযোজ্য থাকবে।”
এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, যে কোনও সমস্যায় যাতে সাধারণ মানুষ ফোন করতে পারেন সেজন্য একটি স্টেট কন্ট্রোল রুম খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন। টোল ফ্রি নম্বর ১০৭০ এবং ল্যান্ডলাইন ০৩৩ ২২১৪৩৫২৬—এই দুই নম্বরে এই পরিস্থিতিতে যে কোনও সমস্যায় পড়লে ফোন করতে পারবেন রাজ্যের সাধারণ মানুষ।