দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ একই দিনে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে নন্দীগ্রামে কর্মসূচি করতে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারিখটা ৭ জানুয়ারি ২০২১।
শুভেন্দু নিজের কর্মসূচির কথা ঘোষণা করে দিয়েছিলেন গত ১০ নভেম্বর। বুধবার রাতে তৃণমূল সূত্রে জানা গেল, ওইদিন দুপুরেই তেখালি ব্রিজ সংলগ্ন মাঠে সভা করতে যাচ্ছেন দিদি।
মনে পড়ে ১০ নভেম্বর শুভেন্দুর বক্তৃতা? সেদিন বিকেলে ফিরহাদ হাকিম, দোলা সেন, পূর্ণেন্দু বসুরা গিয়েছিলেন নন্দীগ্রামে। সকালে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির সভা থেকে শুভেন্দু বলেছিলেন, “খুব ভাল লাগছে! ১৩ বছর পরে নন্দীগ্রামের কথা মনে পড়েছে।”
কী তাঁর আগ্রাসী ভঙ্গি ছিল তা আর নতুন করে বলার নয়। তারপরেই শুভেন্দু বলেন, “৭ জানুয়ারি সূর্য ওঠার আগে বন্ধুরা আসবেন তো?” এরপরেই শুভেন্দু গলা সপ্তমে তুলে বলেছিলেন, “লড়াইয়ের ময়দানে দেখা হবে। রাজনীতির মঞ্চে দেখা হবে।”
এদিন জানা গেল ওই দিন দুপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাবেন নন্দীগ্রামে। তেখালি ব্রিজ সংলগ্ন মাঠে সভা করবেন তৃণমূলনেত্রী। হেলিকপ্টারে কলকাতা থেকে নন্দীগ্রাম যাবেন মমতা। তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান বলেন, “দলনেত্রীকে অনুরোধ করা হয়েছিল ৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে আসার জন্য। আজ তাতে ছাড়পত্র মিলেছে।” সুফিয়ানের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমাবেশে সেদিন জনপ্লাবনে ভেসে যাবে নন্দীগ্রাম।
নন্দীগ্রাম আন্দোলনে ১৪ মার্চ, ১০ নভেম্বর, ৭ জানুয়ারি– এগুলি উল্লেখযোগ্য দিন। শুভেন্দু সব কটি দিনেই নন্দীগ্রামে কোনও না কোনও কর্মসূচি করেন। কিন্তু অন্যবারের তুলনায় এবার পরিস্থিতি একেবারে ভিন্ন। শুভেন্দু এখন বিজেপি নেতা। সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ছেন মমতার বিরুদ্ধে। আর মমতাও যেন ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝে নিতে চাইছেন। হতে পারে সেই কারণেই একই দিনে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে নন্দীগ্রামের মাটিতে মুখোমুখি হতে চলেছেন শুভেন্দু-মমতা।
১৯ ডিসেম্বর মেদিনীপুর কলেজিয়েট মাঠে শুভেন্দুর যোগদানের সমাবেশ এই সময়কালে বাংলার রাজনীতিতে ছিল সবচেয়ে হাই ভোল্টেজ সভা। কিন্তু ৭ জানুয়ারি যদি সকাল, দুপুরে শুভেন্দু ও মমতা নন্দীগ্রামের মাটিতে পা রাখেন তাহলে তা হয়তো রাজনৈতিক উচ্চতায় সব কিছুকে ম্লান করে দেবে।