দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ মঙ্গলবার একুশের মঞ্চ থেকে তৃণমূলনেত্রী বিধানসভা ভোটের সুর বেঁধে দিয়েছেন। দলীয় কর্মীদের উজ্জীবিত করতে বলেছেন, “একুশে ঐতিহাসিক ফলের পর ঐতিহাসিক একুশে জুলাই হবে। হাম হ্যায় না!” ঠিক তার পরের দিন, আজ বুধবার ভোর বেলার বিমানে দিল্লি উড়ে গেলেন দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা, সায়ন্তন বসুর মতো এক ঝাঁক বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতা।
কেন দিল্লিযাত্রা? সকালে বিমানবন্দরে ঢোকার আগে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এখানে আসতে পারছে না। দীর্ঘদিন প্রদেশ স্তরের বৈঠক হয়নি। তাই আমরা দিল্লি যাচ্ছি।” দিলীপবাবু রাখঢাক না রেখেই জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী বিধানসভা ভোট, রাজ্যের পরিস্থিতি, সংগঠন– সব কিছু নিয়েই আলোচনা হবে বৈঠকে।
সুব্রত চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, সঞ্জয় সিনহা, রবীন্দ্রনাথ বসু, রাহুল সিনহার মতো নেতাদের পাশাপাশি সমস্ত সাংসদ ও বেশ কিছু জেলা সভাপতিও দিল্লি গিয়েছেন। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, টানা প্রায় এক সপ্তাহ ধরে দিল্লিতে থেকে দফায় দফায় বৈঠক করবেন তাঁরা।
জেলা ধরে, বিধানসভা ধরে নিবিড় আলোচনা ও প্রস্তুতির জন্যই এই বৈঠক বলে রাজনৈতিক মহলের অনেকের মত। যে কারণে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গ মিলিয়ে প্রায় এক ডজনের বেশি সাংগঠনিক জেলা সভাপতিকেও দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় বিজেপির তরফে বাংলার মূল পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দুই সহ পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন এবং শিবপ্রকাশ ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ দিনে বৈঠকে বসবেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা ও অমিত শাহও।
মঙ্গলবার দিল্লি উড়ে গিয়েছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তিনিও বৈঠকে থাকবেন বলে খবর। মনে করা হচ্ছে জেলা ধরে আসনভিত্তিক পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনার জন্যই এই ম্যারাথন বৈঠকের আয়োজন। কোন জেলার কোন আসনে কতটা শক্তি, কী দুর্বলতা সেসবেরই ময়নাতদন্ত হবে এই বৈঠকে। তারপর আসন ধরে তৈরি হবে সংগঠন ঢেলে সাজার কাজ।
ভুলে গেলে চলবে না দু’দিন আগেই অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে লম্বা নালিশ ঠুকে এসেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। হেমতাবাদের বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের মৃত্যু-সহ রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হতে পারে বৈঠকে। সব মিলিয়ে একুশে জুলাইয়ের পরের দিন থেকেই ২০২১-এ বাংলা দখলের তোড়জোড় শুরু করতে চলছে বিজেপি।