দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ পূর্বাভাস ছিলই। সেই মতোই সপ্তাহান্তে দিল্লির অনেক জায়গায় শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে।পশ্চিম হিমালয় থেকে কনকনে হাওয়া বাধাহীন ভাবে ঢুকতে থাকায় রাজধানীর তপামাত্রা কোথাও কোথাও এক ধাক্কায় ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নেমে গিয়েছে।
কলকাতা শহরের তাপমাত্রা এক ধাক্কায় কমে গেল ৩ ডিগ্রি। আর তার ফলেই পৌষের সকালে শীতের আমেজ শহরবাসীর মনে। আজই এই মরসুমের শীতলতম দিন কলকাতায়। আগামী কালও এই রকমের ঠান্ডা থাকবে বলেই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তবে শুধু কলকাতা নয়, গোটা রাজ্যেই তাপমাত্রা কমে জাঁকিয়ে শীত পড়বে এই দু’দিন।
শনিবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম। শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ ডিগ্রির ঘরে। কিন্তু কুয়াশা সরে যেতেই উত্তুরে হাওয়ার প্রভাব বাড়তে শুরু করেছে। তার ফলেই এক ধাক্কায় অনেকটা কমেছে তাপমাত্রা।
আলিপুর জানিয়েছে, আগামীকাল আরও কমতে পারে তাপমাত্রা। কলকাতার তাপমাত্রা ১২-র ঘরে ও জেলার তাপমাত্রা ১০-এর ঘরে ঘোরাফেরা করবে বলেই জানানো হয়েছে। তার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল উত্তর ভারত জুড়ে শুরু হওয়া শৈত্যপ্রবাহ। তার প্রভাব এই রাজ্যেও পড়ছে। ইতিমধ্যেই পাহাড়ে তুষারপাত শুরু হয়েছে। তারও প্রভাব পড়ছে পারদ পতনে।
গত সোমবার থেকে তাপমাত্রার গতিপ্রকৃতি দেখলে বোঝা যাবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তা ছিল ঊর্ধ্বমুখী। গত সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ১৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে শুক্রবার তা নামে ১৫ ডিগ্রির ঘরে। অর্থাৎ গত দু’দিনে ৬ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রা কমেছে।
সপ্তাহের প্রথমের দিকে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার প্রধান কারণ ছিল পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। তার ফলেই উত্তুরে হাওয়া বাধা পাচ্ছিল। সেই সঙ্গে কুয়াশার জন্যও পারদ পতনে সমস্যা হচ্ছিল। কিন্তু জম্মু-কাশ্মীর ও উত্তর ভারতে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা কেটে গিয়ে তাপমাত্রা হু হু করে নামতে শুরু করেছে। একই ছবি দেখা যাচ্ছে রাজ্যেও। শনি ও রবি এই ধরনের ঠান্ডা থাকবে বলে জানিয়েছে আলিপুর। সোমবারের পর থেকে ফের তাপমাত্রা খানিকটা বাড়তে পারে বলেই পূর্বাভাস দিয়েছে তারা।