দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ কোভিডের তৃতীয় ঢেউ যেন সুনামি হয়ে আছড়ে পড়ছে দিল্লির বুকে।
বুধবার কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড মৃত্যু হল রাজধানীতে। ১৩১ জন মারা গিয়েছেন দিল্লিতে। সেই সঙ্গে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ লক্ষ পেরিয়ে গেল দিল্লিতে।
এই অবস্থায় ফের কিছু পদক্ষেপের কথা ভাবছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তার মধ্যে অন্যতম হল বাজার বন্ধ করা। কারণ, এই বাজারগুলি কোভিড হটস্পট হয়ে উঠতে পারে। পূর্বের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আগে থেকেই সতর্ক হওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কেন্দ্রের কাছে অনুমতি চেয়েছেন কেজরিওয়াল। এছাড়া বিয়েতে নিমন্ত্রিতের সংখ্যা ফের কমিয়ে ৫০ করার কথা ভাবছেন তিনি।
সম্প্রতি দিল্লি সরকারের তরফে বলা হয়েছে, নতুন করে লকডাউন হবে না রাজধানীতে। কিন্তু করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে অন্য কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। অনলাইন সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “দিল্লিতে যেহেতু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তাই আমরা কেন্দ্রের কাছে একটা প্রস্তাব পাঠিয়েছি যাতে দরকার পড়লে সরকার কিছুদিনের জন্য বাজারগুলি বন্ধ করতে পারে। কারণ সেখানে সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না ও তার ফলে এই বাজারগুলি কোভিড হটস্পটে পরিণত হতে পারে।”
অবশ্য কেজরিওয়াল আরও জানিয়েছেন, তিনি আশাবাদী যে বাজারে ভিড় কমবে। সেরকম হলে অবশ্য তা বন্ধ করার প্রয়োজন পড়বে না।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের গাইডলাইন মেনে বিয়েতে ২০০ জন উপস্থিত থাকার অনুমতি দিয়েছিল দিল্লি সরকার। কিন্তু আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আগের মতো ৫০ জন উপস্থিত থাকার সিদ্ধান্তেই ফিরে যাব।
আমি লেফটেন্যান্ট গভর্নরের কাছে অনুমতির জন্য এই প্রস্তাব পাঠিয়েছি। আশা করি তিনি তাড়াতাড়ি অনুমতি দিয়ে দেবেন।”
এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্র যে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন কেজরিওয়াল। বিশেষ করে ৭৫০ আইসিইউ বেডের ব্যবস্থা করে দেওয়ায় কেন্দ্রকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
তবে এর মধ্যেই ফের একবার দিল্লিবাসীর কাছে মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আবেদন করেছেন কেজরিওয়াল। তিনি বলেন, “দীপাবলির সময় আমরা দেখেছি অনেকে কেনাকাটার সময় মাস্ক পরেননি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখেননি। মানুষ মনে করছে তাঁদের করোনা সংক্রমণ হবে না। আমি সবাইকে হাত জোড় করে অনুরোধ করছি, এই সংক্রমণ যে কারও হতে পারে। আর তার থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই আগে থেকেই সাবধান হন।”
সম্প্রতি একটি সমীক্ষা রিপোর্টে দেখা গিয়েছে দিল্লির প্রায় সব বাড়িকেই ছুঁয়ে গিয়েছে কারোনা। অর্থাত্ রাজধানীর প্রায় সব বাড়িতেই কেউ না কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।